করোনা মোকাবেলায় প্রথম সাািরর যোদ্ধারা হচ্ছে ডাক্তার ও নার্স । দেশের প্রয়োজনে অনেক জাতির যুদ্ধ করার ইতিহাস আছে । আর বাঙালির জাতির একটি বড় ইাতহাস হলো মুক্তিসংগ্রাম । ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় জেলে দিনমজুর,ছাত্র,শিক্ষক, যারা যুদ্ধে নেমেছিলেন তারা একটি নির্দিষ্ট ট্রেনিং শেষে ্অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিলো ।
কিন্ত বর্তমানে বাংলাদেশ সহ সারাবিশে^ আতংকের নাম করোনা ভাইরাস সারা দেশ আতঙ্কিত এখন এই করোনা ভাইরাস নিয়ে। সবাই যখন নিজের
নিরাপত্তার জন্য বাড়িতে থাকাটাই নিশ্চিত করছেন প্রায়। দেশে দেশে করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে একমাত্র ভরসার মানুষরা হচ্ছেন ডাক্তার ও নার্সরা ।
২৯(মে) শুত্রুবার পর্যন্ত দুর্গাপুর উপজেলায় মোট করোনা রোগী সনাক্ত-৮ জন ।
দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মীরা বিরামহীন করোনা যোদ্ধারা চলছেন করোনা পোশাক (পিপিই) পড়ে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তানজিরুল ইসলাম, মেডিকেল ল্যাব টেকনিয়াশান আ: মতিন, স্বাস্থ্য পরিদর্শক সুব্রত চত্রুবর্তী সহ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মীরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাঝেও প্রতিদিন করোনা উপসর্গ সংবাদ পেয়েই জীবন ঝুঁকি নিয়ে ছুটে যান নমুনা সংগ্রহের জন্যে করোনা সন্দেহে ব্যক্তির বাড়িতে বাড়িতে । এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: আহসান হাবীব নমুনা সংগ্রহকারীদেরকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী ,মাক্স,গ্লাভস ,পিপিই সরবরাহ
সহ বেশিরভাগ নমুনা সংগ্রহে অংশগ্রহন করে নমুনা সংগ্রহকারীদেরকে
সাহস যোগান ।
ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক ডাক্তার রোগীর জীবন বাঁচাতে
গিয়ে করোনাভাইরাসের আক্রমণে প্রাণ দিয়েছেন। শতভাগ নিরাপত্তামূলক
প্রস্তুতি নেয়ার পরেও তারা আক্রান্ত হয়েছেন ।
প্রতিটি পেশার একটি দায় থাকে। ডাক্তারদের দায় আছে চিকিৎসা দেয়ার। কিন্তু আমাদের দেশে দায়ের ঊর্ধ্বে মানবিকতাকে মাথায় তুলে করোনা আতঙ্কের মধ্যেও নিজের নিরাপত্তা অনিশ্চিত রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন ডাক্তার ও নার্সরা ।
করোনা পরিস্থিতে একজন রোগীর শেষ নিঃশ্বাসের সময় কোনো স্বজন বা প্রিয়জন পাশে থাকবে না। করোনা আক্রান্ত কোনো রোগীকে বাঁচিয়ে
রাখতে মৃত্যুর বিরুদ্ধে শেষ যুদ্ধের একমাত্র সৈনিক তার ডাক্তার। এই যুদ্ধে রোগীর সাথে নিজের জীবন ও হারাতে পারেন একজন ডাক্তার বা নার্স।