সোহেল রানা সোহাগ :
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জামাল মিয়া সহ ৪ জনের উপর হামলার ঘটনায় আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে হাসপাতাল চত্বরে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, তাড়াশ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের খাবারের মান যাচাই করে নেওয়া কে কেন্দ্র করে খাদ্য সরবরাহকারী ঠিকাদারের লোকের হাতে ২৬ মে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জামাল মিয়া সহ ৫ জন লাঞ্চিত হয়। এর পরেই তাড়াশ থানায় মামলা হলেও অদ্যবদি পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় তাড়াশ হাসপাতালের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, দুপুরে হাসপাতালের কুক শফিকুল ইসলাম রোগীদের জন্য খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আব্দুর রাজ্জাক ট্রেডাসের নিয়োজিত লোকের কাছ থেকে তালিকা অনুযায়ী খাবার বুঝে নিতে গেলে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ঠিকাদারের লোক গোলাম মোস্তফা ও বাহাদুর আলী রান্না ঘরের থাকা খড়ি দিয়ে কুক শফিকুলকে মারধর করে। এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জামাল মিয়া সেখানে উপস্থিত হয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাকেও লাঞ্চিত করা হয় এবং তার পরিহিত পিপিই টেনে ছিড়ে ফেলে কিল ঘুষি মারা হয়। এছাড়া অকথ্য ভাষায় গালাগালী ও তাদের কথামত না চললে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। এছাড়া ওই কর্মকর্তা আরো জানান, তাকে রক্ষা করতে এসে হাসপাতালের কর্মরত শাহাদৎ হোসেন ও বাবলু মিয়াকেও লাঞ্চিত হতে হয়েছে ।
তাড়াশ হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মোঃ রুম্মন খান বলেন,আমরা এই ক্রান্তি সংলগ্নে নিজের জীবনের ঝুকি নিয়ে মানুষের সেবা করে যাচ্ছি তাতেও আমাদের কোন সমস্যা নাই। কিন্তু আমরা যদি অপমান লাঞ্চিত হই তাহলে তো মেনে নেওয়া যায় না।হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা লাঞ্চিত হয়েছে আর আমরা তা তার নিচের কর্মকর্তা লাঞ্চিত হতে কতক্ষণ। অতিবিলম্বে যদি আসামী গ্রেফতার না হয় তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসুচি দিতে বাদ্য থাকবো। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ওসি মাহবুবল আলম বলেন, আসামী ধরার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। আগামী ২/৩দিনের মধ্যে আসামী যেখানেই থাক ধরা পরবেই।