ঈশ্বরদীতে করোনা আক্রান্ত ছেলের সাথে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে গোপনে দিয়ে বিপাকে পড়েছেন পরিবার। বিষয়টি জানাজানি হলে শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ মেয়ের বাবার শহরের ফকিরের বটতলা এলাকার বাড়ি লকডাউন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী শহরের ফকিরের বটতলা এলাকার ইলেকট্রিক মিস্ত্রী আশরাফ হোসেন চুনি ঈদুল ফিতরের আগের দিন অতি গোপনে তার কলেজ পড়–য়া মেয়ে শর্মিকে বিয়ে দেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার ষোলদাগ গ্রামের রাসেল নামে এক যুবকের সাথে। শর্মি ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণী ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ছাত্রী বলে জানা গেছে।
আশরাফ হোসেনের প্রতিবেশি সোহান জানান, বিয়ের পাত্র রাসেল ঢাকাতে ইন্টারনেট ব্যবসার সাথে জড়িত। করোনা উপসর্গ নিয়েই সে তার গ্রামের বাড়ি ভেড়ামারায় আসে। গত এক সপ্তাহ আগে তার নমুনা পরীক্ষার জন্য জমা দেয়া হয়। এরমধ্যেই ঈদের আগের দিন গত ২৪ মে সে ঈশ্বরদী শহরের ওই বাড়িতে গোপনে বিয়ে করে।
একই এলাকার ইলেকট্রনিক ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন জানান, ওই যুবক বিয়ের পর নতুন বউ নিয়ে তার ভেড়ামারার বাড়িতে ৪ দিন অবস্থান করেন। শর্মির পরিবারের লোকজনও ঈশ্বরদী থেকে ভেড়ামারায় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। শুক্রবার সদ্য বিয়ে করা ওই যুবক রাসেলের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
তিনি আরো জানান, আজ করোনা রিপোর্ট আসার পরপরই বিষয়টি ভেড়ামারা ও ঈশ্বরদী শহরে জানাজানি হলে এলাকায় আতঙ্ক ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ শহরের মেয়ের বাবার বাড়িটি লকডাউন করে এবং বাড়ি থেকে কাউকে বাইরে বের না হতে কঠোরভাবে নির্দেশ দেয়। বাড়ির সকলের নমুনা পরিার জন্য সংগ্রহ করা হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
এদিকে, ভেড়ামারার ষোলদাগ গ্রামের রাসেলের বাড়িও ওই এলাকার প্রশাসন লকডাউন করেছে বলে জানা গেছে।