গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি,
ত্রাণ বিতরণ নিয়ে দ্বন্দ্ব আর পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদের ২নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) আবু সাইদকে মোবাইল ফোনে ভয়ভীতি দেখানোসহ প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে।
ওই ঘটনার প্রতিবাদ ও জীবনের নিরাপত্তা দাবী করেছেন ইউপি সদস্য আবু সাইদ। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন ডেকে ওই দাবী করেন তিনি। মেম্বারের নিজ গ্রাম ইউনিয়নের বিন্যাবাড়ী বাজারে ওই এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য আবু সাইদ অভিযোগ করেন, সম্প্রতি বাকিতে একটি মোটর সাইকেল কিনেছিলেন তিনি।
কিন্তু মোটরসাইকেলের শো-রুম থেকে বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য উকিল নোটিশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। উপায় না থাকায় একটি চেকের পাতা দিয়ে চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ৬২ হাজার টাকা নিয়েছিলেন।
ওই টাকা পরিশোধ করতে না পারায় চেয়ারম্যানের এক সমর্থককে দিয়ে ১১ লাখ টাকা দাবী করে আদালতে মামলা (চেক ডিজঅনার) দায়ের করান। আদালতে মামলা চলমান থাকলেও চেয়ারম্যান
মুঠোফোনে তাঁর কাছে ওই টাকা দাবী করতে থাকেন।
চেয়ারম্যানের ভয়ে পরিষদের যেতে পারছেন না তিনি। সম্প্রতি আবারও টাকা পরিশোধের তাগিদ দিয়ে মুঠোফোনে প্রাণনাশের হুমকী দেখান। একারনে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি।
পরিস্থিতি বিবেচনায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজের নিরাপত্তা ও চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের শাস্তি দাবী করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে মো.সাদেক আলী, আবু সাঈদ, মোতালেব হোসেনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউপি সদস্য আবু সাঈদ।
অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, তার পরিষদের
মেম্বার হওয়ার কারনে বিভিন্ন সময় তাঁর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন মেম্বার আবু সাইদ। ওই পরিশোধ না করে নানা টালবাহানা করাসহ পরিষদে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। ভারতে
তার হার্ট অপরাশনে থাকা কালীন ওই সাঈদ বিভিন্ন জায়গায় তার মৃত্যু কামনা করে। এবিষয়টি জানতে ক্ষোভে তাকে মোবাইলে গালমন্দ করা হয়েছে। প্রাণনাশের অভিযোগটি সত্য নয়। তাছাড়া চেক ডিজঅনারের মামলাটি তিনি করেননি।