রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় একটি মসজিদের ইমাম নিয়োগকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মসজিদের বর্তমান ইমামকে রাখা না রাখা নিয়ে এ সংঘর্ষে শুরু হয়। এ সময় সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন গুলিতে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার নওশারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এই মসজিদটি রাজশাহীর বাঘা, নাটোরের লালপুর এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকা। তবে মসজিদটি লালপুর সীমানার মধ্যে পড়েছে। বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, এলাকার একপক্ষ বলছিল নওশারা জামে মসজিদের বর্তমান ইমামের নামাজ পড়ানো ভালো নয়, তাকে বাদ দিয়ে অন্য ইমাম নিয়োগ দিতে হবে। তারা লালপুরের এক ব্যক্তিকে ইমাম হিসেবে নিয়োগ দিতে চান। এসময় অন্য পক্ষ বর্তমান ইমামকেই রাখতে চান। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে একপক্ষ অন্যপক্ষকে এয়ারগান দিয়ে গুলি করেছে। পাঁচজনের হাতে, বুকে, পিঠে, নাকে গুলি লেগেছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন, গুলিতে আহত হয়েছেন ছয়জন। এছাড়া লাঠিশোটার আঘাতে দুই পক্ষের আরও অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। ওসি জানান, আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এয়ারগান উদ্ধারে তল্লাশি চলছে। এ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।#
রাজশাহীতে কালবৈশাখী ও বৃষ্টিতে লÐভÐ,নিহত ১
নাজিম হাসান,রাজশাহী থেকে :
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের পর আরেকদফা রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ও বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। ইরি-বোরো ফসলের পাশাপাশি আম ও লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ঝড়ে কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মে) দিবাগত রাতের কালবৈশাখী ঝড়ে উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিশেষ করে পাকা ধান,আম ও লিচু বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি জেলার বাগমারা,পবা, গোদাগাড়ী,বাঘা ও চারঘাটসহ বিভিন্ন উপজেলার গ্রামাঞ্চল থেকে গাছপালা ভেঙে পড়া এবং কাঁচা ঘরবাড়ির টিনের চালা উড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে চাষিরা লোকসানের আশঙ্কা করছেন। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩৫ কিলোমিটার। এরই মধ্যে শুরু হয় বজ্রসহ বৃষ্টি। মেঘের গগনফাটা গর্জনে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন রাজশাহীর মানুষরা। তবে কৃষি বিভাগ বলছে,ঝড়-বিৃষ্টির মাঝেই আম বড় হয়। ক্ষতি খুব একটা হবে না। এবিষয়ে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন জানান, রাতে তাদের আবহাওয়া অফিস এলাকায় ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ পাওয়া গেছে ঘণ্টায় ১৯ কিলোমিটার। তবে জেলার কোথাও বেশি বৃষ্টিপাত কিংবা বাতাসের গতিবেগ থাকলে তা রেকর্ড করার কোনো উপায় তাদের ছিল না। শুধুমাত্র আবহাওয়া অফিসেই যেটুকু পাওয়া যায় তা রেকর্ড করা হয়। তিনি আরো বলেন,মঙ্গলবার সন্ধ্যার কিছু আগেই গোদাগাড়ী এলাকায় হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। তুমুল ঝড়ের সময় গোদাগাড়ী পৌরসভার জাহানাবাদ এলাকায় ইটের দেয়াল ধ্বসে এক নারী নিহত হয়েছে। রাজশাহীর জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেছেন,কৃষিবিভাগ ফসলের ক্ষয়-ক্ষতির জরিপ করছে। আর তারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে অন্যান্য ক্ষয়-ক্ষতির হিসাব নেয়ার চেষ্টা করছেন। আপাতত তার কাছে গোদাগাড়ীর এক নারী নিহত হওয়ার খবর আছে। এর বাইরে কিছু বাড়ি-ঘরের চালা উড়ে গেছে।