করোনা ভাইরাসের কারণে থমকে গেছে পুরো পৃথিবী। তবে সবচেয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন সমাজের খেটে খাওয়া মানুষগুলো। অদৃশ্য এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে বিশ্বের প্রতিটি দেশেই লকডাউন বা কারফিউ জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশেও আগামী ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে লকডাউন। তবে এই মেয়াদের পর আরো লকডাউন বাড়ানো হবে কিনা এ ব্যাপারে কথা বলেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
রবিবার ( ২৪ মে) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এরপর সাধারণ ছুটি আরও বাড়বে কিনা তা ঈদের পর বৃহস্পতিবারে (২৮ মে) জানা যাবে। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ছুটির বিষয়ে দিক-নির্দেশনা আসতে পারে বলেও জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।’
দেশে দিন দিন করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এ অবস্থায় ছুটি নিয়ে আর কোনো সিদ্ধান্ত আছে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ক্ষুধায় যাতে কেউ কষ্ট না পায়, সবাই যেন খাদ্য সংস্থান করে খেতে পারে, কর্মকাণ্ড করতে পারে; আমরা ভবিষ্যতকে অনিশ্চিত করবো না। ঝড় একটার পর একটা আসবে, বিভিন্ন দুর্যোগ আমাদেরই মোকাবিলা করতে এগোতে হবে।’
করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। ইতোমধ্যে সাত দফায় ছুটি বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটির বাড়ানো হয়। এর মধ্যে ঈদুল ফিরতের ছুটিসহ সাপ্তাহিক যুক্ত আছে। এখন ঈদের পর ছুটি আরও বাড়বে কি না সেটি নিয়ে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ।
৩০ মের পর ছুটি আর বাড়ানো না হলে ৩১ মে রবিবার অফিস খোলা হতে পারে। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছুদিন ছুটি বাড়লেও বেশ কিছু অফিস সীমিত আকারে খুলতে পারে। সেক্ষেত্রে কঠোরভাবে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। যেমন কর্মকতা-কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরাসহ ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের দেওয়া ১৩ দফা নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।