রাজশাহীর তানোরের দুই সন্তানের জননী খালেদার ঢাকায় মৃত্যু নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া কোন ধরনের পোষ্ট মেটাম ছাড়াই লাশ দাপন সম্পন্ন করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে গৃহবধূর মরদেহ নিয়ে আসা হয় গ্রামের বাড়িতে। মরদেহ নিয়ে আসার পর তালন্দ ইউপি সদস্য মাহবুর ও নিহত খালেদার স্বামী আনোয়ার হোসেন স্থানীয় প্রশাসনকে আত্মহত্যা বলে দাফনের অনুমতি নেন। এরপর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পোষ্ট মেটাম ছাড়াই হয় দাফন সম্পন্ন। এতে করে গ্রাম বাসীর মাঝেও বিরাজ করছে এক প্রকার অজানা আতঙ্ক। উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা প্রশ্ন। জানা গেছে উপজেলার তালন্দ ইউপির বিলশহরগ্রামের খালেকের মেয়ের সাথে বিয়ে হয় পাচন্দর ইউপির যশপুর গ্রামের আনোয়ারের সাথে। সংসার জীবনে তাদের আছে দুই সন্তান। অভাবের কারনে পরিবারের সবাই দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বিভিন্ন ধরনের কাজ করে সংসার পরিচালনা করত। এঅবস্থায় গত বুধবার দিবাগত রাতে গৃহবধূ খালেদা আত্মহত্যা করে মৃত্যু বরন করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার খালেদার মরদেহ তাঁর পিতার বাড়ি বিলশহরে নেয়া হয়। গ্রামের বেশ কিছু ব্যাক্তি জানান তাঁরা বলছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে, আবার শোনা যাচ্ছে স্বামীর মারপিটে মারা গেছে। ঢাকা থেকে যারাই এলাকায় আসছে তাদের শরীরে করোনা শনাক্ত হচ্ছে। অথচ গৃহবধূ খালেদার যে ভাবেই মৃত্যু হোক তাঁর মরদেহ পোষ্ট মেটাম বা তাঁর নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা দরকার ছিল। কারন তাঁর শরীরে যদি করোনা ভাইরাস থাকতেও পারে। প্রশাসনের এটা চরম গাফলতি। তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ওই ওয়ার্ডের মেম্বার মাহবুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমরা থানাকে অবহিত করেছি যে ঢাকা থেকে মরদেহসহ তাঁর স্বামী এবং সন্তানরা এসেছে। অনুমতি নিয়েই দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। গৃহবধূকে নাকি মারপিট করে মেরে ফেলা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান যদি তাই হতো তাহলে তাঁর স্বামী এখানে থাকতো না। এবিষয়ে থানার ওসি রাকিবুল হাসান জানান ইউপি সদস্যের মাধ্যমে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হয়েছি, যেহেতু ঢাকায় মারা গেছে আমাদের তেমন কিছু করার নাই বলে জানান তিনি।