মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ মানবতার সেবক, সাদা মনের মানুষ গুণীজন ব্যক্তিত্ব
বৃটেন প্রবাসী মোঃ আব্দুল মালিক। আল্লাহর সন্তুষ্টিই একমাত্র লক্ষ্য। মৌলভীবাজার জেলার
রাজনগর উপজেলার পাঁচগাও ইউনিয়নের এক কৃতি সন্তান। একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশী
কমিউনিটির নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তিত্ব। শিক্ষা,সংস্কৃতি ও নানাবিধ উন্নয়ন ও
কল্যাণমূলক কাজে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন।,পেয়েছেন একাধিক সংবর্ধনা,
সম্মাননা ক্রেষ্ট। বর্তমান পরিস্থিতে বৃটেনে ঘরে ঘরে করোনা আক্রান্ত রোগী।
প্রতিদিনই সেখানে মরছে মানুষ, দিন যায় লাশের সারি দীর্ঘ হয়। করোনা আতঙ্কে
ঘরবন্দি মানুষ। সেই অবস্থায় থেকেও দেশের মানুষের কথা ভুলে যাননি, ভুলেননি নিজের
জন্মস্থান। গুণীজন ব্যক্তিত্ব বৃটেন প্রবাসী মোঃ আব্দুল মালিক, মৌলভীবাজার অনলাইন
প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য, মৌলভীবাজার জেলার প্রাণের সংগঠন ইউনিটি অব
মৌলভীবাজার এর সভাপতি, মৌলভীবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজ ও পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয়, মানবতার স্বপ্ন সংগঠনের এডমিন ও পৃষ্ঠপোষক, পৃষ্ঠপোষক উপদেষ্ঠা মেধা-
সংস্কৃতি বিকাশ পরিষদ, রাজনগর, মৌলভীবাজার, রাজনগর ওয়েলফেয়ার সোসাইটি,ইউকে
ভাইস চেয়ারম্যান, ডেইলি সিলেট ডট.কম এর ডিরেক্টর, মৌছাক ফুড প্রোডাক্টস,
মৌলভীবাজার এর ডিরেক্টর, ম্যানেজমেন্ট প্রোপারটি বিজনেস, ইউকে, ডিরেক্টর, ইউকে
বাংলা টিভির ডিরেক্টর, আশার আলো মৌলভীবাজার হোয়াটসঅ্যাপ গ্র“প এর সহ-
সভাপতি, স্পন্দন,মৌলভীবাজার এর উপদেষ্ঠা, মায়ার মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ গ্র“প, হেন্ডস
ইউনিট, মৌলভীবাজার এর পৃষ্টপোষকসহ শতাধিক বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এর
সাথে জড়িত। করোনা সংকটের প্রথম থেকেই অনেকটা প্রচার প্রচারণা ছাড়াই নিরবে
সেই জনন্দিত প্রবাসী আব্দুল মালিক উপজেলার পাঁচগাও ইউনিয়নসহ জেলায় একাধারে
খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহন করে মানুষের
পাশে থেকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। মুহুর্তের জন্য ভুলেননি গ্রামের খেটে খাওয়া
মানুষগুলোর কথা। নিজের জন্মভূমি আর দেশের মানুষকে নিয়ে তাঁর উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা
দেখে বুঝা যায় তাঁর দেশাত্ববোধ কতটা জাগ্রত। মানবতা ও বাস্তবতা এতই কঠিন যে
কখনও কখনও বুকের ভিতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে। যেমনটি
নভেল করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ থাবায় সারাবিশ্ব আজ বড় অসহায়। করোনার ভয়ে
ঘরবন্দি মানুষের মাঝে বিরাজ করছে নানা শঙ্কা। অঘোষিত লকডাউনে কাজ না থাকায়
হতদরিদ্র মানুষেরা যখন বিপাকে পড়েছেন। পাশে নেই অনেক অঢেল অর্থসম্পদের মালিক,
জনপ্রতিনিধি-ঠিক তখনই মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে মানুষের জন্য কাজ করছেন।
সমাজে চলতে আমাদের অন্যের সহযোগিতা প্রয়োজন হয়। এ সহযোগিতা যে কেবলই
বিপদ ও সংকটের মুহূর্তে প্রয়োজন হয় এমন নয়, বরং সহযোগিতা প্রয়োজন হয়
খুশি ও আনন্দের প্রতিটি উপলক্ষেও। আত্মীয়তা কিংবা বন্ধুত্বের বন্ধন। জীবনের প্রতিটি
ক্ষেত্রে তাই আমরা পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর ভর করেই টিকে থাকি। কথা হল, যখন আমরা
কারও কাছ থেকে সহযোগিতা পাই, উপকৃত হই, এর বিনিময়ে আমরা কী করতে পারি ?
এ উপকার ও সহযোগিতার বদলা আমরা কীভাবে দিতে পারি ? এর কৃতজ্ঞতা আমরা আদায়
করতে পারি কী করে ?। সহযোগিতা যেমনই হোক, আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত- অন্যের
প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া। বিশেষত যদি কখনো নিজের প্রতি দয়াকারী
ব্যক্তিটির পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ হয়, তার কোনো উপকার করার সুযোগ পাওয়া যায়,
তাহলে তো অবশ্যই তা কাজে লাগানো উচিত। উপকারী ব্যক্তির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের
মোক্ষম সুযোগ। এ কৃতজ্ঞতা যদি কেউ প্রকাশ না করে, তাহলে সে সমাজের চোখে তোনিন্দিত হয়ই, সে নিন্দিত হয় মহান রাব্বুল আলামীনের কাছেও। যে মানুষের কৃতজ্ঞতা
আদায় করে না, সে আলাহর প্রতিও কৃতজ্ঞ হয় না। সর্বশেষ কথা হল, সেই “সাদা মনের
মানুষ, বৃটেন প্রবাসী আব্দুল মালিক” এর মতো অন্যরা যদি এভাবে মানবিক হয়ে
মানবতার কল্যাণে এগিয়ে আসতো। সমাজ পরিবর্তন হতো। মানবিক মানুষের সংখ্যা
যেন আরো বেশি করে বৃদ্ধি পায়, বৃত্তবানদের মধ্যে অনুপ্রেরণা যোগায়। আল্লাহপাক
যেন কবুল করেন। জানতে চাইলে বৃটেন প্রবাসী আব্দুল মালিক এ প্রতিবেদককে বলেন-
বিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানো নৈতিক কর্তব্য বলে মনে করি আমি। আমার
কাছে মানবিকতায় সবচেয়ে বড় কোন পরিচয় নেই। আমি একজন মানুষ হিসাবে
মানুষের কষ্টের মুহূর্তগুলোতে আমি নিরবে বসে থাকতে পারিনা, তাই নিজ উদ্যোগে
প্রতিটি মানুষের পাশে আছি। তিনি আরো বলেন- মানব সেবার চেয়ে বড় ধর্ম আমার
কাছে আর কিছুই নেই। এখানে আমার কৃতিত্বও কিছু নেই। আমাকে বড় করে দেখারও
কিছু নেই। আমি একজন সাধারন মানুষ-তাই মানুষের বিপদে পাশে থাকাটাই আমার
সবচেয়ে বড় পরিচয় এবং ধর্ম।