পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ঈদ উপলক্ষে ও সরকারের ঘোষিত বর্ধিত ছুটি উদ্যাপনের জন্য অনেকেই গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। এটি কোনোভাবেই হতে দেওয়া যাবে না।
আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী মাঠপর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন তিনি। আইজিপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনগণের সার্বিক কল্যাণের জন্য যেসব নির্দেশনা দিয়েছেন, তা সবাইকে যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। সাধারণ মানুষকে সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
সংশ্লিষ্ট সব পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়ে বেনজীর আহমেদ বলেন, সরকারের পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত যেন কোনোভাবেই ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকায় এবং ঢাকা থেকে ঢাকার বাইরে কেউ যেতে না পারেন। একইভাবে প্রতিটি জেলা ও মহানগরীও জনস্বার্থে কঠোরভাবে এ বিষয়টি বাস্তবায়ন করবে।
শপিং মল ও মার্কেটগুলো যেন যথাযথ নিয়মকানুন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা হয়, সেটি নিশ্চিত করতে বলেন তিনি। সব ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধির যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
আইজি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে হাসি মুখে জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন এবং নিচ্ছেন। অনেক সদস্য ইতিমধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত দেশপ্রেমিক এ ত্যাগী পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসা ও কল্যাণের জন্য সম্ভবপর সব উদ্যোগের কথা তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন।
করোনা মোকাবিলায় সাফল্য দেখিয়েছে, এমন সব দেশের পলিসি ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পলিসিসহ বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনার আলোকে পুলিশ সদস্যের জন্য একটি অত্যন্ত আধুনিক এসওপি (স্ট্যান্ডিং অপারেটিং প্রসেডিওর) তৈরি করে সেটি সব ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। এ নির্দেশনাটি যথাযথভাবে অনুসরণের নির্দেশনা দেন আইজিপি।
দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের নিজেদের যথাযথ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বলেন আইজিপি। আইজিপি বলেন, দেশ ও মানুষের সেবা একটি বিরল সুযোগ। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থায়ীভাবে আসন করে নিতে আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি জনসেবার এ অভূতপূর্ব ধারা অব্যাহত রাখারও আহ্বান জানান তিনি।
যেকোনো ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বেনজীর আহমেদ বলেন, সব ধরনের পুলিশি সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু করা হবে। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক আইনশৃঙ্খলা কার্যক্রমকে অধিকতর বেগবান ও ফলপ্রসূ করতে পর্যায়ক্রমে সব ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক পুলিশ কর্মকর্তা মনোনীত করা হবে। এতে পুলিশের কাজের অধিকতর জবাবদিহিও নিশ্চিত হবে। পরিশেষে আইজিপি বলেন, পুলিশকে বর্তমানের মতো করে সব সময় দাঁড়াতে হবে মানুষের পাশে।