করোনা প্রতিরোধে ছাত্রলীগ কর্মীর নিরন্তর চেষ্টা

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার
খুবজীপুর উইনিয়নের নিয়ামুল হক। দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের শুরু থেকেই ব্যাক্তি
উদ্যোগে নিজ গ্রাম ৫নং ওয়ার্ড চরপিপলাকে জীবাণুমুক্ত রাখতে গত মার্চ মাস
থেকে এখন পর্যন্ত রাস্তাঘাট, মসজিদ, যানবাহন, দোকানপাটসহ গুরুত্বপূর্ণ
জায়গাগুলোতে নিয়মিত নিজ হাতে জীবাণুনাশক প্রয়োগ করছেন তিনি।
এছারা গ্রামের জনসাধারণকে সচেতন করতে সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ ও গ্রামের
গণ্যমান্যদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ অন্য জেলা থেকে আগতদের
হোমকোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরন, হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকা পরিবারকে বাজার করে
দেয়া ও খোজ খবর রাখা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ইউএনও মহোদয়কে অবগত করে ত্রান-
সহায়তাসহ সার্বিক সহায়তা নিশ্চিত করেন। একই সাথে গ্রামের জনগনকে ঘরে
থাকতে উৎসাহিত করা ও জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে যেতে নিরুৎসাহিত করে
আসছেন।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, নিয়ামুল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের
দর্শন বিভাগে অধ্যায়নরত। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একজন পরিশ্রমী
কর্মী। নাটোর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাধারণ
সম্পাদক ছিলেন তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, করোনা আক্রমনের শুরু থেকেই নিয়ামুল জীবাণুনাশক প্রয়োগসহ
সবাইকে করোনা বিষয়ে অন্যদের সাথে নিয়ে সচেতন করে চলেছেন। তার এ কাজ
প্রশংসনীয়। আমরা তাকে সার্বিকভাবে সহোযোগিতা করছি।
এ বিষয়ে নিয়ামুল বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মী এ মুহুর্তে সাধারন
মানুষের পাশে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমি একজন ছাত্রলীগ কর্মী
হিসেবে এখান থেকে উৎসাহ পাই। তিনি আরো বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে
জীবাণুমুক্ত করণের মাধ্যমে এই ভাইরাস অনেকটা প্রতিরোধ করা সম্ভব। পাশাপাশি
সার্বিক সচেতনতা অবলম্বন করলে এই রোগের সংক্রমণ রোধ সম্ভব। তাই নিয়মিত
আমি এটি করে যাচ্ছি। করোনা পরিস্থতি সাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই প্রচেষ্টা
অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।#
মো. আখলাকুজ্জামান
০১৭৩০-৯৩৪২৫০