করোনা কালের জীবন ধারা -১৪

বাংলাদেশে একটি প্রবাদ বাক্য চালু আছে, তাহলো “ নিজের ঢোল নিজেকেই পেটাতে হয়। কারণ ”‘করোনাকালের জীবন ধারা’ ধারাবাহিতভাবে লিখতে গিয়ে বলতে গেলে আমি (এই প্রতিবেদক,
এবাদত আলী) মহা বিপদেই পড়তে বসেছি। বিশ^ব্যাপি করোনার এই
মহামারির সময়ে বিষয় বস্তুর কোন অভাব নেই। অবস্থাটা এমন যে, ‘শ্যাম রাখি না কুল রাখি’ অর্থাাৎ কোনাট রেখে কোনটা লিখি। কিন্তু বাংলাদেশে এই করোনা মহামারির সময় এমন কোন কথা লিপিবদ্ধ করা যাবেনা যাতে করে কেউ কোন বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে। যদিও সব সত্যকথা সাংবাদিক ও –কলামিস্টরা লিখতে পারেনা। প্রায় সময়ই তাদেরকে গা বাঁচিয়ে চলতে হয়। আর এটাই রেওয়াজ। তবে ইতিহাসের পাতার সত্য ঘটনাতো তুলে ধরতেই হবে।
‘করোনাকালের জীবন ধারা’য় গত সংখ্যায় ঈদুল ফিতরের নামাজের জামায়াত সম্পর্কে লিখেছিলাম। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ২০ নভেম্বর তারিখে শাহজাদপুর -পোতাজিয়ার ঈদগাহ
মাঠের বর্ণনা দিয়েছিলাম। মুক্তিবাহিনীর ঈদের নামাজ আদায়ের একটি খন্ড চিত্র তাতে তুলে ধরেছিলাম। কিন্তু আমার কিছু অনুরক্ত ও ভক্ত
পাঠক রয়েছে যারা সেসময়কার গোটা ঈদের নামাজের এবং ঈদ পালনের বিষয় অবগত হতে চান। আমি তাদেরকে আশ^স্ত করতে চাই এই বলে যে,
আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগেই তা তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে।
একথা বল্লে অত্যুক্তি হবেনা যে, আমার লেখা পাঠ করার পাঠকের সংখ্যা অগণিত। কারণ আমি বাল্যকাল থেকেই গল্প-কবিতা লিখতাম। আর লেখার
নেশাটা এমনিভাবেই পেয়ে বসেছিলো যে, কারো নিষেধ শুনতামনা।
গল্প- কবিতা লিখতে গিয়ে আমার লেখা-পড়ার ক্ষতি হবে ভেবে আমার অভিভাবকরা শংকিত হলেও সেদিকে আমি কর্ণপাত করতামনা। আর যখন
পাবনা রাধানগর মজুমদার একাডেমীতে (আর এম একাডেমী) দশম শ্রেণিতে পড়ি তখন একাডেমীর ছাত্রদের মধ্য থেকে আমি বার্ষিকী
সম্পাদক নির্বাচিত হই এবং আমার সম্পাদনায় আর এম একাডেমী হতে সর্বপ্রথম স্কুল বার্ষিকী বের হয়। আরএম একাডেমীর ইংরেজি শিক্ষক জহুরুল হকের তত্বাবধানে ১৯৬৭ সালে এই বার্ষিকী প্রকাশিত
হয়। বার্ষিকীতে আমার লেখা রম্য রচনা “হায়না” তখন পাঠক মহলে দারুন উপভোগ্য হয়, ফলে আমার পরিচিতি অনেকাংশেই বৃদ্ধি পায়।
এরপর বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর স্বাধীন দেশের মাটিতে ১৯৭২ সালে শাহজাদপুর হতে সাইফুদ্দিন চৌধুরীর সম্পাদনায় প্রকাশিত “গণবাংলা” পত্রিকার উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করি।
১৯৭৮ সালে আটঘরিয়া থানার কৃতি সন্তান আমিরুল ইসলাম রাঙার উদ্দোগে আটঘরিয়া প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠিত হলে আমাকে আটঘরিয়া
প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করা হয়।। এসময় আমি বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি আটঘরিয়া শাখার সভাপতি পদেও নির্বাচিত হই। পরে আমাকে আটঘরিয়া প্রেসক্লাবের আজীবন
সদস্য পদ প্রদান করা হয়। সাংবাদিকতার সুবাদে আমি পাবনা প্রেসক্লাবের সদস্যপদ লাভেরও সুযোগ পাই।
আমি দৈনিক আজাদ, দৈনিক স্ফুলিঙ্গ, দৈনিক বাংলার বাণী, দৈনিক ভোরের কাগজ এর আটঘরিয়া প্রতিনিধি এবং কলাম লেখক হিসাবে নিযুক্ত
ছিলান। পাবনা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বিবৃতি (পরে দৈনিক), দৈনিক নির্ভর পত্রিকার নিয়মিত কলাম লেখক। বাংলাদেশ বেতার রাজশাহী
কেন্দ্রের প্রাত্যহিক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান “স্পন্দন” এ আমার একাধিক কথিকা প্রচারিত হয়েছে।
ঢাকার দৈনিক সমাচার এবং বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক চাঁদনী বাজার এর পাবনা ব্যুরো প্রতিনিধি ও কলাম লেখক। ঢাকা থেকে প্রকাশিত আরেকটি পত্রিকা দৈনিক আজকালের খবরের ও কলাম লেখক।
পাবনার চাটমোহর থেকে প্রকাশিত দৈনিক চলনবিল, ঈশ^রদী থেকে প্রকাশিত দৈনিক উন্নয়নের কথা, পাবনা শহর থেকে প্রকাশিত দৈনিক সিনসা, দৈনিক ইছামতি, দৈনিক পাবনা প্রতিদিন, দৈনিক জোড়
বাংলা, দৈনিক বিপ্লবী সময়, দৈনিক পাবনার খবর, দৈনিক পাবনার বাণী পত্রিকা এবং অনলাইন পত্রিকা “ নিউজ পাবনা ডট কম’’ ও ‘‘অনাবিল সংবাদ
onabil.net ’’ এর নিয়মিত কলাম লেখক।
সুদীর্ঘ চার যুগ ধরে লেখালেখির ফলে আর যাই হোক একজন লেখক হিসেবে আমার কিছুটা হলেও পরিচিতি রয়েছে। তবে একজন সুলেখক
হিসেবে আজো নিজেকে দাবি করার সাহস পাইনা। এমন কিছু পাঠক আছেন যারা আমার লেখার সমালোচনা করেন, ভুল ধরেন। এমন বিস্তর
পাঠক আছেন যারা আমার লেখা পড়ে আনন্দ পান আমাকে উৎসাহ যোগান। আমি সকলকেই সন্মান করি। নিজেকে শুধরাবার জন্য প্রাণপন
চেষ্টা করি। বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রায় ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায়
১০ কোটি মানুষই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। সেটা কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল ফোন অথবা যেকোন মাধ্যমেই হোক। আজকাল যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হলো ফেস বুক। আর লেখা শেষ করার পর অতি সহজেই ফেসবুকে আপলোড করলেই তা মুহূর্তেই পাঠকদের নাগালের
মধ্যে চলে যায়। ফলে লেখক ও পাঠকের মাঝে মেলবন্ধন তৈরি হয়।
করোনাকালের জীবন ধারা লিখতে গিয়ে অগণিত পাঠক ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের অনেক কথা আমার লেখুনির মাধ্যমে প্রচার করার অনুরোধ
জানান। এই করোনার করুণ সময়ে অনেকে ত্রাণের সঠিক ব্যবহার হচ্ছে
কিনা তা তুলে ধরতে অনুরোধ করেন। সরকারি ত্র্যাণ সহায়তার তালিকা তৈরিতে কালক্ষেপন, মুখ চিনে চিনে তালিকা প্রনয়ন, অনলাইনের তালিকা প্রস্তুতকারিদের নামের পাশাপাশি নিজেদের মোবাইল নং দিয়ে একাধিক নাম তালিকাভুক্ত করে কর্তৃপক্ষের নিকট জমাদান-ইত্যাদি
ইত্যাদি। মধ্য বিত্ত পরিবার যে রাতারাতি নি¤œ বৃত্ত পরিবারে গণ্য হচ্ছে, যাদের দিকে ফিরে তাকাবার কেউ নেই এসব কথা।
সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তাগণ দফায়
দফায় সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির অধীনে বেশ সুখের হালতে দিন

সিনসা, দৈনিক ইছামতি, দৈনিক পাবনা প্রতিদিন, দৈনিক জোড়
বাংলা, দৈনিক বিপ্লবী সময়, দৈনিক পাবনার খবর, দৈনিক পাবনার বাণী পত্রিকা এবং অনলাইন পত্রিকা “ নিউজ পাবনা ডট কম’’ ও ‘‘অনাবিল
ডট কম’’ এর নিয়মিত কলাম লেখক।
সুদীর্ঘ চার যুগ ধরে লেখালেখির ফলে আর যাই হোক একজন লেখক
হিসেবে আমার কিছুটা হলেও পরিচিতি রয়েছে। তবে একজন সুলেখক
হিসেবে আজো নিজেকে দাবি করার সাহস পাইনা। এমন কিছু
পাঠক আছেন যারা আমার লেখার সমালোচনা করেন, ভুল ধরেন। এমন বিস্তর
পাঠক আছেন যারা আমার লেখা পড়ে আনন্দ পান আমাকে উৎসাহ
যোগান। আমি সকলকেই সন্মান করি। নিজেকে শুধরাবার জন্য প্রাণপন
চেষ্টা করি।
বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রায় ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায়
১০ কোটি মানুষই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। সেটা কম্পিউটার, ল্যাপটপ
কিংবা মোবাইল ফোন অথবা যেকোন মাধ্যমেই হোক। আজকাল
যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হলো ফেস বুক। আর লেখা শেষ করার পর অতি
সহজেই ফেসবুকে আপলোড করলেই তা মুহূর্তেই পাঠকদের নাগালের
মধ্যে চলে যায়। ফলে লেখক ও পাঠকের মাঝে মেলবন্ধন তৈরি হয়।
করোনাকালের জীবন ধারা লিখতে গিয়ে অগণিত পাঠক ফেসবুকের
মাধ্যমে তাদের অনেক কথা আমার লেখুনির মাধ্যমে প্রচার করার অনুরোধ
জানান। এই করোনার করুণ সময়ে অনেকে ত্রাণের সঠিক ব্যবহার হচ্ছে
কিনা তা তুলে ধরতে অনুরোধ করেন। সরকারি ত্র্যাণ সহায়তার তালিকা তৈরিতে কালক্ষেপন, মুখ চিনে চিনে তালিকা প্রনয়ন, অনলাইনের তালিকা প্রস্তুতকারিদের নামের পাশাপাশি নিজেদের মোবাইল নং দিয়ে
একাধিক নাম তালিকাভুক্ত করে কর্তৃপক্ষের নিকট জমাদান-ইত্যাদি
ইত্যাদি। মধ্য বিত্ত পরিবার যে রাতারাতি নি¤œ বৃত্ত পরিবারে গণ্য
হচ্ছে, যাদের দিকে ফিরে তাকাবার কেউ নেই এসব কথা।
সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তাগণ দফায় দফায় সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির অধীনে বেশ সুখের হালতে দিন গুজরান করছেন। মাস গেলে মাইনে তাদের ধরাই আছে। করোনাকালে তাদের
পক্ষে যেমন লকডাউন মান্য করা অতি সহজ তেমনি দেশে প্রায় ১ লাখ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি -বেসরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারির জীবন কেমন কষ্টে কাটছে তার হিসাব রাখার লোকের সংখ্যা খুবই নগন্য। সকলেই হাল নিয়ে ব্যস্ত। বকেয়ার কথা আর কেইবা মনে রাখে? অবসর গ্রহণের সময় প্রাপ্ত লামগ্যান্ট, গ্র্যাচুইটির টাকা-পয়সা ব্যাঙ্ক একাউন্টে সজতনে
জমা করে রাখলেও বর্তমান করেনাকালে অেেনকেরই তা তলানিতে গিয়ে
ঠেকেছে। তাই তাদের জন্য আর কিছু নাহোক রেশনিং ব্যবস্থা চালু করলে তারা শেষ বয়সে পরিবার পরিজন নিয়ে অন্তত দুমুঠো খেয়ে জীবনধারণ করতে পারতো। বলতে গেলে বর্তমানে তারাই সুবোধ বালকের মত করোনা আদেশের শতভাগ লকডাউন পালন করে চলেছে।
মহামারি এই করোনকালে মহা সংকটে আছেন দেশের প্রায় সাড়ে ৯ হাজার নন এমপিও স্কুল কলেজ ও মাদরাসার ১ লাখ ১০ হাজার শিক্ষক-
কর্মচারি। যাদের মধ্যে সম্প্রতি দুই হাজার ৬ শ ১৫ প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত হওয়ায় ৩০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারির বেতনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
কিন্তু অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারি। করোনার ভয়ে আগামি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার কারণে
কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আয় নেই। বিধায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যে সন্মানি দেওয়া হতো তাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
(চলবে) (লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট)।
এবাদত আলী
সাংবাদিক ও কলামিস্ট
সদস্য পাবনা প্রেসক্লাব।