রাজশাহী মহানগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রকাশ্যে প্রশাসনের সামনে দোকানপাট খুলে ব্যবসায়ী পাতি করে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। এসময় সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করেই তারা জোর তালে বেচাবিক্রি করছে। এতে করোনা সংক্রমের ঝুঁকি চরম ভাবে ধারন করছে। করোনা ভাইরাস সংক্রামণ রোধে আনুষ্ঠানিক ভাবে গত ১৪ এপ্রিল রাজশাহী জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসক আব্দুল হামিদ। তবে এই লকডাউনকে অমান্য করে এরই মধ্যে পুর্বের মত দোকানপাট খুলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এখানকার ব্যবসায়ীরা। অথচ দেশের বিভিন্ন স্থানেই দোকানপাট না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে দোকানপাট-মার্কেট বন্ধ থাকুক এমনই মত দিয়েছেন রাজশাহীর সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। তবে এর আগে ১৪ এপ্রিল লকডাউন ঘোষণা করা পর থেকে রাজশাহীতে কঠোর অবস্থানে ছিল আইন শৃঙখলা বাহিনীর সদস্যরা। কিন্ত বর্তমানে হেলা খেলা করে দায়িত্ব পালন করছে তারা। এর কারণে সড়ক গুলোতে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে যানবাহনের সংখ্যা। এদিকে জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজশাহীতে ফুটপাতে কোনো ব্যবসায়ী, হকার বা ফেরিওয়ালা বসতে পারবেন না। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের সামনেই রাস্তার দু’পাশে ফুটপাতে বসছেন হকার,ফেরিওয়ালা,শাড়ি-লুঙ্গিসহ বিভিন্ন দোকানের বিক্রেতারা। তারা স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বেচাকেনায় মেতে উঠেছেন। মনে হচ্ছে পুর্বের মত হাট-বাজার খুলেগেছে। অপরদিকে,রাজশাহীর বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভা হাট-বাজারে বিভিন্ন এলাকা থেকে বাজার করতে আসা কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,করোনা ভাইরাস সংক্রামণ রোধে আনুষ্ঠানিক ভাবে গত ১৪ এপ্রিল রাজশাহী জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসক। ফলে কয়েক দিন যাবত এখানকার দোকানপাট বন্ধ ছিলো। এবং এসময় তারা দোকানের সামনে একজন করে কর্মচারী দাঁড়িয়ে রেখে কেউ সেদিকে গেলেই ওই কর্মচারী জানতে চাচ্ছেলেন কী লাগবে ভাই। তারপর ক্রেতাদেরকে সাটার তুলে ঢুকিয়ে দিচ্ছেলেন দোকানে। এরপর আবারও সাটার নামিয়ে দেয়া হচ্ছেল। কেনাকাটা শেষ হলে আবারও সাটার তুলে ক্রেতাকে বের করে দেয়া হচ্ছে ছিল। কিন্তু এবার লকডাউনকে অমান্য করে সব ধরনের দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখানকার দোকানীরা। আর এভাবে প্রতিদিন সকাল ৯ টার পর থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত শাড়ী কাপড়,পোশাক, কসমেটিকস,ক্রোকারিজসহ অন্যান্য দোকানেও বিক্রি করা হচ্ছে জিনিসপত্র। ফলে মার্কেটের পাশের সবগুলো গলিতে মানুষের প্রচ ভিড় হচ্ছে। এছাড়া আইন শৃঙখলা বাহিনীর সদস্যরা বর্তমানে হেলা খেলা করে দায়িত্ব পালন করার কারণে তাহেরপুর সড়ক গুলোতে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে যানবাহনের সংখ্যা। এতে করে করোনা সংক্রমের ঝুঁকি আরো বাড়ছে। তবে গতকাল বুধবার (১৩ মে) রাজশাহী অঞ্চলে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২৬১ জন। এর মধ্যে সুস্থতা পেয়েছে ৩৭ জন। আর করোনার সঙ্গে লড়ছেন এখনও ২২৪ জন বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।