ঢাকায় একটি কোম্পানিতে কর্মরত একজন প্রকৌশলী শরীরের করোনা ভাইরাস নিয়েই রবিবার রাতে ভাঙ্গুড়া ফিরেছে। ওই প্রকৌশলী ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের চৌবাড়ীয়া মহল্লার বাসিন্দা। সোমবার বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রশাসন ওই প্রকৌশলীর বাড়ি লকডাউন করে দেন। ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এনিয়ে ভাঙ্গুড়ায় এ পর্যন্ত চারজন করোনা আক্রান্ত রোগীর অবস্থান জানা গেল। আক্রান্ত অপর তিনজন ঢাকা ও গাজীপুর ফেরত।
সূত্র জানায়, ওই প্রকৌশলী ঢাকায় একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতো। এক সপ্তাহ আগে তার শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। তখন সে ঢাকার মহাখালীর ন্যাশনাল পোলিও এন্ড মিসেলস ল্যাবরেটরীতে (এন পি এম এল) যোগাযোগ করেন। এতে গত ৯ মে তার নমুনা নেয় ওই প্রতিষ্ঠানটি। এর পরের দিন রবিবার সকালে ওই প্রকৌশলী ঢাকা থেকে ভাঙ্গুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। দিনভর ভোগান্তি শেষে রাত আটটার দিকে তিনি ভাঙ্গুড়া এসে পৌঁছান। এরপর আজ সোমবার ঢাকার ওই প্রতিষ্ঠানটি মোবাইল ফোনে ওই প্রকৌশলীকে করোনা পজিটিভ বলে জানিয়ে অফিসে গিয়ে রিপোর্ট সংগ্রহ করতে বলেন। তখন সে বাড়িতে এসেছে জানালে আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেন ন্যাশনাল পোলিও এন্ড মিসেলস ল্যাবরেটরী কর্তৃপক্ষ। পরে বিষয়টি প্রতিবেশীদের মাধ্যমে এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে বিষয়টি জানতে পারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এদিকে করোনা আক্রান্ত প্রকৌশলীর এলাকায় আসার খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ওই মহল্লায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী জানান, বিষয়টি জানার পর থেকেই খুব আতঙ্কে আছি। ওই প্রকৌশলী নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার পরে ঢাকার কোন হাসপাতালে ভর্তি হলে পারতো। কিন্তু তিনি তা না করে এলাকায় এসে সবাইকে ঝুঁকিতে ফেলে দিলেন।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আক্রান্ত প্রকৌশলী ঢাকায় একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে নমুনা দিয়ে বাড়ি চলে এসেছে। পরে এলাকাবাসীর মাধ্যমে তার করোনা পজিটিভ এর বিষয়টি জানতে পারি। এরপর ঢাকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার করোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হই। দুপুরে ওই প্রকৌশলীর বাড়ি গিয়ে লকডাউন করে তাকে আইসোলেশন থাকার বিষয়টি কড়াকড়িভাবে পালন করতে বলা হয়েছে।