মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: বৈশ্বিক কোভিড-১৯ মহামারীর দূর্যোগময় সময়ে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন “এক্স-এমবিএসটিইউয়ান ওয়েলফেয়ার ফান্ড (স্থাপিত-২০১৮) এর উদ্যোগে মোট ১০০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার একটি সামাজিক সুরক্ষা বৃত্তি প্রদানের কর্মসূচীর ঘোষনা করা হয়েছে। প্রথম ধাপে ৭৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৫০০ টাকা হারে বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নেয় তহবিল পরিচালনা পর্ষদ। গত ৪ মে ২০২০ইং থেকে প্রথম ধাপের বৃত্তির অর্থ স্ব স্ব বিভাগের সংগঠন প্রতিনিধি ও বিভাগীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে চুড়ান্ত আবেদনকারীদের মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে প্রেরণ করা হয়। তবে, দ্বিতীয় ধাপে তহবিল সংগ্রহ সাপেক্ষে আরো কমপক্ষে ২৫ জনকে বৃত্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনটির যা ২০ মে এর মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।
গত ৩ মে ২০২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: আলাউদ্দীন, বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য ও প্রক্টর প্রফেসর ড. মো: সিরাজুল ইসলাম,বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শাহীন উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো: মাসুদার রহমান-এর উপস্হিতিতে একটি অনলাইন ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয় যেখানে এই বৃত্তি বিতরনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: আলাউদ্দীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ হতে এ উদ্যোগের সাথে জড়িত সকলকে ধন্যবাদ প্রদান করেন, বিশেষ করে যেসকল প্রাক্তন শিক্ষার্থী অনুদান দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এমবিএসটিইউয়ান, প্রত্যকে মোরা একে অন্যের তরে রবো নিবেদিত” এ স্লোগানকে সামনে নিয়ে সংগঠনটি এবার বৃত্তি কার্যক্রম শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে সতন্ত্র ও স্থায়ী এই কল্যাণ তহবিল “এক্স-এমবিএসটিইউয়ান ওয়েলফেয়ার ফান্ড” এর কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে।
ফান্ড পরিচালনা পর্ষদের শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে শিক্ষা জীবন বাধাগ্রস্থ হয়, আবার অনেকে বিভিন্ন জটিল ও দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারে, আবার বিভিন্ন আপদকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের সহায়তার প্রয়োজনীয়তাকে প্রাধান্য দিয়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি মাভাবিপ্রবি প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের দায়বদ্ধতা থেকে এই স্থায়ী কল্যাণ তহবিলটি গঠন করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রয়োজন মাফিক শিক্ষা, চিকিৎসা ও মানবিক সাহায্যের জন্য এ তহবিলের উপকারভোগী হবেন।