আপোদ কালীন সময়ে সরকারের মানবিক সহায়তার ত্রাণ চুরি ও জালিয়াতি প্রতিরোধে এবং সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘ডিজিটাল সেন্ট্রাল সার্ভার সিষ্টেম’ উদ্ভাবন করে প্রশংসিত হলেন ঈশ্বরদীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব রায়হান। পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ঈশ্বরদীতে এই প্রযুক্তি পাইলট কর্মসূচি হিসেবে প্রয়োগ করে সফলতা অর্জন করেছে। এখন জেলায় এই সিষ্টেম ব্যবহার করা হবে। খাদ্য ও অন্যান্য সহযোগীতায় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহারের যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব রায়হান পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রযুক্তির উদ্ভাবনের উদ্যোগ গ্রহন করেন। ঈশ্বরদীর তথ্য ও যোগাযোগ অধিদপ্তরের সহকারী প্রোগ্রামার মাসুদ রানা জেলা তথ্য অফিসারের সহায়তা নিয়ে সফলভাবে ‘ডিজিটাল সেন্ট্রাল সার্ভার সিষ্টেম’ উদ্ভাবন করেন। গত ৩০শে এপ্রিল ঈশ্বরদী পৌর এলাকায় ‘ওএমএস’ এর চাল বিতরণের মাধ্যমে এই প্রযুক্তির উদ্ভাবন করা হয়।
প্রযুক্তি প্রসংগে সহকারী প্রোগ্রামার মাসুদ রানা বলেন, বাংলাদেশে যে সাইটগুলো রয়েছে, সেখানে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশী হলে ধীরগতির কারণে জরুরী প্রয়োজনের সময় কাজ হয় না। এই সফটওয়্যারে ধীরগতির সম্ভাবনা নেই। প্রতি সেকেন্ডে এক লাখ মানুষ একসাথে এটি ব্যবহার করতে পারবে। প্রত্যেক সুবিধাভোগীর জন্য পৌরসভা ও ইউনিয়ন হতে প্রেরীত তালিকা অনুযায়ী কিউ আর কোড ব্যবহার করে একটি আইডি প্রদান করা হয়। যা মোবাইল আ্যাপস্ এর মাধ্যমে সনাক্ত করা হয়। মোবাইল আ্যাপস্ থেকে স্ক্যান পূর্বক সাবমিট করলেই তাৎক্ষনিক সকল ফলাফল জানা যায়। আপদকালীন সময় ছাড়াও বছরব্যাপী সরকারের মানবিক সহায়তার সকল কার্যক্রম এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মনিটরিং ও পরিচালিত হবে। জানা যায়, ত্রানসহ অন্যান্য সরকারি সহযোগিতার চুরি ও জালিয়াতি প্রতিরোধ এবং বিশেষ ওএসএস, ওএমএস, ভিজিডি, ভিজিএফসহ খাদ্যবান্ধব ও অন্যান্য সকল কর্মসূচি এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মনিটরিং ও পরিচালিত হবে।
এবিষয়ে পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, ডিজিটাল সেন্ট্রাল সার্ভার সিষ্টেমকে সময়পোযোগী ও অভূতপূর্ব উদ্ভাবন। এর মাধ্যমে একই ব্যক্তির একাধিকবার ত্রাণ গ্রহন ও চুরির সুযোগ না থাকার পাশাপশি হিসেব-নিকেশে স্বচ্ছতা থাকবে।
সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রযুক্তি প্রসংগে বলেন, এই প্রযুক্তি ব্যবহারে একই ব্যক্তির একই সময়ে দুই বার বা অন্য কারো সহযোগিতা গ্রহনের সুযোগ থাকবে না। মোবাইল এ্যাপস্ ব্যবহারের কারণে বরাদ্দকৃত সহযোগিতা প্রদানের ফলে এখন আর জনপ্রতিনিধিদের ত্রাণ চুরি বা চুরির অপবাদ দেয়ার সুযোগ থাকবে না।