ইয়ানূর রহমান : মাধ্যমিক গন্ডি না পেরিয়ে রেজাউল নামের এক প্রতারক গড়ে তুলেছে ডেন্টাল ক্লিনিক। শার্শার গোগা বাজারে এ ক্লিনিকের অবস্থান। যার নাম দেয়া হয়েছে দি শোভা ডেন্টাল কেয়ার। গ্রামের সহজ সরল মানুষদের ঠকিয়ে দিব্বি তার প্রতিষ্ঠান প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে। অথছ, প্রশাসন সহ সচেতন মহল না দেখার ভান করে রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শুধু প্রতারক রেজাউল নয়, তার সাথে রয়েছে তারই স্ত্রী মিনারা খাতুনও। যেখানে ক্যান্সাররের মত দুরারােগ্য ব্যাধীরও চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয় মিজান নামের এক রোগি অভিযোগ করে বলেন, আমি রেজাউলের দি শোভা ডেন্টাল কেয়ারে গিয়েছিলাম চিকিৎসা নিতে। সেখানে যাওয়ার পর আমার দাতে খুচাখুচি করে আমাকে বলে আপনার দাতের অবস্থা ভালো না। আপনার ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা বেশি ।এখনই চিকিৎসা না নিলে তার খুব শীগ্রই মৃত্যু হবে। তার নিকট থেকে নিলে ক্যান্সার থেকে বাাঁচা যাবে। ভয়ে বাধ্য হই আমি তার কাছে চিকিৎসা নিতে। এভাবে একমাস কেটে যায় আমার ব্যাথা যন্ত্রনা তীব্র হতে থাকে। এদিকে রেজাউলকে হিসাব বিহীন অগনিত টাকা দিয়েছি ক্যান্সার এর ভয়ে। তার চিকিৎসায় কোন উপকার না হওয়ায় বাধ্য হই নাভারন যেয়ে চিকিৎসা নিতে। একদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর আমি পুরোপুরি সুস্থ্য হই ।
আরো কয়েকজন ভুক্তভুগীর একই ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে ডাক্তার রেজাউল ইসলাম রেজার কাছে জানতে চাইলে সে ভীতু হয়ে পড়ে। এক পর্যায় বলে সে সে নিজেকে এইচ এসসি পাশ বলে দাবি করে। কত সালে এসএসসি আর কত সালে এইচ এসসি পাশ জানতে চাইলে সে বলতে পারে না।
তার স্ত্রী মিনারা খাতুন অবশ্য সত্য কথাই বলে ফেলে। তিনি বলেন রেজাউল লেখা পড়া বেশী জানে না। সে বিদেশ ছিল। সেখানে একজনের কাছে কাজ শিখে সে নিজেই ডেন্টাল-এর একটি ক্লিনিক খুলেছে। ক্লিনিকটির কোন রেজিষ্টেশন আছে কি না জানতে চাইলে বলে আবেদন দেওয়া আছে বলে তিনি জানান।
তবে এলাকার একাধিক ভুক্তভোগির অভিযোগ রেজাউল ডাক্তার প্রতারনার মাধ্যেমে মানুষকে ভয় ভিতী দেখিয়ে অর্থ আদায় করে থাকে। সেই সাথে তার একটি ফার্মেসী আছে ; সেই ফার্মেসী থেকে সে অপ্রয়োজনীয় ঔষুধ ধরিয়ে দেয় রোগীদের হাতে।#