যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন। ২৫০ বছর পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে থাকাকালীন কেউ ডিভোর্স দিলেন স্ত্রীকে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসা বরিস সদ্য বাবা হয়েছেন বরিস। বান্ধবীর কোলে এসেছে ফুটফুটে ছেলে। এবার বান্ধবীর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে স্ত্রী মারিনা উইলারের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন করে ভাঙলেন ২৫০ বছরের রেকর্ড।
দীর্ঘদিন ধরেই বরিস জনসন ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্ত্রী মারিনা উইলার আলাদা থাকছেন, এবার দুজনের মধ্যে পাকাপাকিভাবে বিবাহবিচ্ছেদ হলো। ১৯৯৩ সালে প্রথম স্ত্রী অ্যালেগ্রা ওয়েনের সঙ্গে ডিভোর্সের ১২ দিন পর ম্যারিনাকে বিয়ে করেন বরিস। প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে সহপাঠী উইলারের কাছে ফিরে গিয়েছিলেন বরিস।
ম্যারিনার বাবা ব্রিটিশ হলেও মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। বরিস ও ম্যারিনার দুই ছেলে ও দুই মেয়েও বর্তমান। কিন্তু দাম্পত্য কলহের জেরে ২০১৮ সাল থেকে বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২ বছর পর ডিভোর্সের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল।
এবার নিজের সন্তানের মা ক্যারি সাইমন্ডসকে বিয়ে করার ক্ষেত্রে আইনত আর কোনো বাধা নেই বরিসের। গত ২৯ এপ্রিল লন্ডনের একটি হাসপাতালে সন্তান প্রসব করেছেন ক্যারি।
এর আগে ১৭৬৯ সালে ব্রিটেনের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী অগাস্টাস ফিত্জরয় পদে থাকাকালীন নিজের স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছিলেন। তার ২৫০ বছর পর সেই রেকর্ড ভাঙলেন বরিস।