পাবনার চাটমোহরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। একদিকে নতুন ধান ঘরে তোলার আনন্দ অন্যদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কার মধ্য দিয়ে চলছে ধান কাটার কাজ। ঝড়, শিলাবৃষ্টি, আগাম বন্যা, শ্রমিক সংকটের শংকাও রয়েছে কৃষকের মনে। অসচেতন শ্রমিকদের পক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ধান কাটা নিয়েও রয়েছে সংশয়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চাটমোহরে ৯ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের চাষ হয়েছে। গত বছর চাষ হয়েছিল ৯ হাজার ৮শ ৬৫ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে ২শ ১৫ হেক্টর জমিতে কম ধান চাষ হয়েছে। চাটমোহরে সাধারণত ব্রীধান-২৮, ব্রীধান-২৯, মিনিকেট, জনক রাজ, এস এল-৮সহ স্থানীয় জাতের ষাইটা, ও কালো বোরো ধানের চাষ হয়। এর মধ্যে ষাইটা, কালো বোরো ও মিনিকেট ধান কাটা শুরু হয়েছে।
উপজেলার বোয়াইলমারী গ্রামের কৃষক খবির উদ্দিন জানান, তিনি আট বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। বীজ, জমি চাষ, মই, সার, বীজ রোপণ, নিড়ানো বাবদ বিঘাপ্রতি প্রায় দশ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। গভীর বা অগভীর নলকূপের সেচ বাবদ সেচ যন্ত্রের মালিককে চার ভাগের এক ভাগ ধান দিয়ে আসতে হয়। সিকি ভাগ বাদে প্রতি বিঘা জমিতে ১৫ মন মিনিকেট ধান পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমান বাজারে এ ধান ৯শ টাকা মন দরে বেচা কেনা হচ্ছে। এ হিসেবে বিঘা প্রতি লাভ থাকছে মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকা। অন্যান্য কৃষকেরা জানান, ব্রীধান-২৮ ও ব্রীধান-২৯ এর ফলন এর চেয়ে কিছু বেশি পাওয়া যাবে। এ ধান কাটার সময় শ্রমিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করায় শ্রমিকের পারিশ্রমিক বেড়ে যায়। ধানের দাম যদি কমে যায় তাহলে লাভের পরিমান আরো কমে যাবে।
উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা এ.এ.মাসুম বিল্লাহ জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো ধানের ভাল ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সীমিত আকারে আগাম ধান কাটা শুরু হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে ধানের দাম খুব একটা না কমলে কৃষক লাভবান হবেন।