সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের ত্রাণের চাল আত্মসাৎকারী চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দ্রুত মামলা গ্রহণ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজি ও শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর এ নোটিশ দেয়া হয়। আজ মঙ্গলবার ইউনিয়নের ২৬ জন নাগরিকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এ নোটিশ পাঠান। তিনি বলেন, অবিলম্বে ত্রাণের চাল আত্মসাৎকারী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে।
নোটিশে বলা হয়েছে, সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা নদীর ভাঙ্গনের শিকার কৈজুরী ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র ও ভূমিহীন। করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ থেকে বাঁচাতে একমাস ধরে অত্র ইউনিয়নে সরকার ঘোষিত লকডাউন চলমান রয়েছে। ফলে ইউনিয়নের খেটে খাওয়া মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছে। কর্মহীন ও অসহায় মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ত্রাণের চাল আত্মসাৎ করেছে চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম। ত্রাণের চাল চুরির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি থাকলেও চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম প্রভাবশালী হওয়ায় তাকে এখন পর্যন্ত আইনের আওতায় আনা হয়নি। বরং চেয়ারম্যান এখন পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে ত্রাণ কার্যক্রমে অনিয়ম করে যাচ্ছে এবং তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া জনগণের বাড়ি ভাংচুরসহ হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এমনকি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দেয়া হলেও কোন অজ্ঞাত কারণে তা এখনো মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। এজাহার মামলা হিসেবে রেকর্ড না করে নাগরিকদের আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
এ ছাড়া গত ২৯ এপ্রিল ত্রাণ আত্মসাৎকারী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত আবেদন দেওয়া হয়। গত ৩ মে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে ত্রাণ আত্মসাৎকারী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবেদন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।