মধ্যনগর করোনার দাপটে আতংকের পরিস্তিতিতে গরিবরা সরকারের ত্রাণ অনেকেই পায়নি

এম এ মান্নান
সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর থানার ৪ টি ইউনিয়নে করোনার দাপটে আতংকের পরিস্তিতিতে সরকারের লকডাউনে দিনমুজোরা খাবে কি তালাশ নেয়নি সমাজের বিত্তশালী,  জনবান্ধব সমাজ সেবী, জনপ্রতিনিধিরা, সরজমিন ঘোরে দেখা যায় প্রকৃত হতদরিদ্র অনেক অসহায় গরিবের কপালে ঝুটেনি সরকারের দেওয়া ত্রাণ। সরকারের ত্রাণ একাধিক বার দেওয়া হলেও তালিকায় কারচোপির কারনে প্রকৃত গরিবের নাম তালিকাভুক্ত হয়নি। বিবরনে প্রকাশ করোনার দাপটে মোহামারির আতংক প্রখট আকার ধারণ করার লক্ষণ দেখে থরিত গড়িত লকডাউনের ব্যবস্থা নেন দেশের সরকার, সেই সাথে কর্মজীবী মানুষেরা হয়ে যায় কর্মহীন, আর হতদরিদ্র দিনমুজোর হয়ে যায় গৃহবন্দি এর প্রেক্ষিতে দেখা দিলো খাদ্য সংকট, ভাগ্যিস এরিমাঝে শুরু হল বোরো ফসল ধান খাটা, সাথে সাথে সরকারের লকডাউন ভেঙে দিয়ে জীবন বাছাতে জীবিকার তাগিদে ঝাপিয়ে পড়ল হাওরে ধান খাটতে। ফলে না খেয়ে মৃত্যুর হাত থেকে বেছে গেলও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী,এলাকার প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গ্রামে গ্রামে না গিয়ে মেম্বার গনকে দায়ীত্ব দেন গরিবের তালিকা করতে সেই সুযোগে ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি মেম্বার গন তালিকা তৈরিতে সজনপ্রীতি করছে,এরকম অভিযোগ পাওয়া গেছে, যার কারনে হতদরিদ্র পরিবারগুলি ত্রাণ পাওয়া থেকে বাদ পড়ার কারন রয়েছে,অথচ দেখা যায় নির্বাচনের সময় চেয়ারম্যানরা ভোটের জন্য প্রতি গ্রামের ঘরের ধারে ধারে ঘোরেন চেয়ারম্যান হয়ে গেলে আর জনগনের খোজ খবর নেওয়ার সময় থাকে না।  যেমন একটা ওয়ার্ডে হতদরিদ্র পরিবার ১০০ শ আছে এর মাধ্যে ত্রাণ পাবেন ৩০ জন, তারমাঝে মেম্বার সাহেবের বলয়ের লুকজনকে দিতেই হবে যারা থাকে ভোট দিয়েছেন, চাচা,চাচাত ভাই,খালা,খালাত ভাই, ফুপু, বোনজামাই অন্যান্য আর্তিয় সজন সহ তার নিজের ৩০ জনের তালিকা পরিষদে দেওয়া হলে,এতেকরে প্রকৃত হতদরিদ্র গরিবের কপালে সরকারের ত্রাণ আর ঝুটেনা। এসব অনিয়ম দুর্নীতির তালাশ নেওয়ার জন্য কেউ আসেনা মানবতার সেবায় সুধীমহলেরা। সরকার কতৃপক্ষের কোনো প্রতিনিধিও তদারকি করতে আসেনা সরজমিনে, এর কারন হাওর বৃষ্টিত জনপদে যাতায়াত ব্যবস্থা খুবেই নাজেহাল যার দরুন দুর্নীতি দমন কর্মকর্তারা সরজমিনে আসেনা ফলে অনায়াসে চাউল চোরি,পকল্পের কাজ না করেই টাকা চোরি সহ বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম করছে ক্ষমতাধর ব্যাক্তিরা, এইসব বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির খবর গণমাধ্যম কর্মীরা পত্রিকায় প্রকাশ করলেও সরকারের কর্মকর্তারা বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করেন বলে সচেতন মহল ধারণা করছে। জনমনে প্রশ্ন এই এলাকা কবে হবে দুর্নীতি মুক্ত,কবে বন্ধ হবে জনসাধারণের চাউল চোরি।