গত ১ মে শুক্রবার করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির নমুনা টেস্টে করোনা কোভিড ১৯ সনাক্ত হয়েছে। তার বাড়ি দিনাজপুর সদরের চেহেলগাজী ইউনিয়নের রানীগঞ্জমোড় এলাকায় দেশিয়াপাড়া গ্রামে। তিনদিন পরে ওই রিপোর্ট পাওয়া গেছে দিনাজপুরের এমন আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের পিসির মেশিনে। তবে ওই দিনই দাহ করা হয়েছে মৃত ব্যক্তিকে।
দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা গেছে,করোনা উপসর্গে নিয়ে মৃত ওই ব্যক্তির শরীরে করোনার উপস্থিতি ছিল বা শনাক্ত হয়েছে। তার বাড়ী দিনাজপুর সদর উপজেলায় চেহেলগাজী ইউনিয়নের উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামে, তার নাম সঞ্জয় দেব বয়স ২৯ বৎসর,সে একজন ভাটা শ্রমিক। এই নিয়ে দিনাজপুর জেলায় (কোভিড-১৯) পজিটিভ সংখ্যা সর্বমোট পূর্বে ২১ + ১ মৃত = ২২ জন এর মধ্যে ১৬ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা এবং ২ জন শিশু।
গত ২৪ ঘন্টায় ৫২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রোববার পর্যন্ত দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের ল্যাব থেকে মোট ২৩টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে এর মধ্যে ১টি (কোভিড-১৯) পজিটিভ মৃত ব্যক্তি এবং অপর আর একটি পূর্বের রোগী পজিটিভ (ফলোআপ) বাকী ২১টি নেগেিেটভ। অদ্যাবধি ল্যাবটেরিতে প্রেরিত নমুনার সংখ্যা ৭৪০ টি এবং অদ্যাবধি ফলাফল পাওয়া নমুনার সংখ্যা ৬৮০ টির মধ্যে ২১ জন জীবিত ব্যক্তি ও ১ জন মৃত ব্যক্তি করোনা রোগী শনাক্ত।
এই মোট ২২ জন ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মধ্যে (দিনাজপুর সদর ৭ জন, কাহারোল ৩ জন, বোঁচাগঞ্জ ১ জন, ফুলবাড়ী ১ জন, পার্বতীপুর ২ জন, নবাবগঞ্জ ৩ জন ও ঘোড়াঘাট ২ জন, হাকিমপুর ২ জন) মোট ৮টি উপজেলায় রয়েছে। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছে ২০ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছে ১ জন (নবাবগঞ্জ উপজেলা)। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে ৫৩২৬ জনের মধ্যে ৩৯১৪ জন সুস্থ থাকায় অব্যাহতি পেয়েছে। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা দাড়িছে ১৪১২ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে দিনাজপুর জেলায় ১৭৬ জন হোম কোয়ারেন্টাইন গ্রহন করেছে। অদ্যাবধি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে প্রেরিত হয়েছেন ২০০ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে অব্যাহতি পেয়েছে ৪৭ জন। বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১৫৩ জন।
সিভিল সার্জন এম এ কুদ্দুস জানান, আর যারা ইতিমধ্যে নারায়নগঞ্জ, ঢাকা ও গাজীপুর থেকে এসেছে এবং ইতিপূর্বে যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিল তাদের সন্দেহ হলে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। নতুন আক্রান্ত মৃত রোগী দিনাজপুর ইটের ভাটায় কাজ করতো। তার গ্রামটিকে লকডাউনের বিষয়ে নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষন করা হবে।
এদিকে সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাগফুরুর আব্বাসি জানান, রিপোর্ট পাওয়ার সাথে সাথে স্হানীয় জন প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ওই এলাকাকে প্রাথমিক লকডাউন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।