পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেছেন- করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবায় পাবনা কমিউনিটি হাসপাতালকে কোভিড ডেডিকেডেট হাসপাতাল হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলার নয় উপজেলার ছয়টিতেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় পিসিআর ল্যাব স্থাপনেও কাজ শুরু হয়েছে।
গতকাল স্বাস্থ্যবিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে কোভিড ডেডিকেডেট হাসপাতালের প্রস্ততি সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।
গোলাম ফারুক প্রিন্স জানান, দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এরই মাঝে সারা দেশে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের প্রচেষ্টা চলছে। পাবনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মাইক্রোবাইলোজি বিভাগে পিসিআর ল্যাব স্থাপন সম্ভব বলে নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে করোনা মোকাবেলায় পাবনার দায়িত্বপ্রাপ্ত
সচিব ও স্বাস্থ্য বিভাগের সাথেও আমরা কথা বলেছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ে পাবনায় পিসিআর ল্যাবে সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষা শুরু হবে।
এমপি প্রিন্স আরো বলেন, করোনা যুদ্ধে চিকিৎসরা ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধা। তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সেবা করছেন। পাবনা কোভিড হাসপাতালে যেসব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সেবা দেবেন।
তাদের জন্য উন্নত খাবার, আবাসনের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ এবং মানসিক ভাবে তাদের চাঙ্গারাখতে ইন্টারনেট সংযোগ ও টেলিভিশনে কেবল সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ডা. মো. আকসাদ আল মাসুর (আনন) জানান- পাবনা কর্মরত ডাক্তার গণ করোনা নিয়ে দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে কোভিড হাসপাতালে ১০০ শয্যার জন্য প্রস্তুত করা হলেও ২৫০ শয্যার ব্যবস্থা আছে। প্রয়োজন হলেই ২৫০ শয্যা করা হবে।
কোভিড হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ মো. আবুল হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে
কোভিড হাসপাতালে ১০০ শয্যার জন্য অক্সিজেন সিলি-ার, নেবুলাইজারসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আইসিইউ, ভেন্টিলেটর স্থাপনে চাহিদাপত্রও দেয়া হয়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও প্রস্তুত রয়েছেন। বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা ও আইইডিসিআর এর নির্দেশনা অনুযায়ী চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল জানান, পাবনায় গত ২১ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ ফেরত একজন ব্যক্তির শরীরে প্রথম করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়। এরপর একজন চিকিৎসক ও দুজন স্বাস্থ্যকর্মী সহ জেলায় মোট ১১ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে একজন ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অন্যদের, কোন উপসর্গ না থাকায় বাড়িতেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। উপসর্গ দেখা দেয়া মাত্র হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেয়া হবে।