বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: করোনায় মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে যাওয়ায় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। ওই পরিবারের ১২ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ শেষে শনিবার মধ্যরাতে বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন।সূত্র জানায়, উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের বৈরাগী বাজার এলাকায় পল্লী চিকিৎসক ডা. সুকুমার বাবু স্বপরিবারে বসবাস করে আসছিলেন। তার বড় ছেলে সবুজ, ফার্মেসী ব্যবসার সুবাদে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সিলেট শহরের আখালিয়ার কালিবাড়ি বসবাস করতেন। শেখঘাট কলাপাড়ায় ছিলো তার ঔষধের দোকান। গেল ক’দিন আগে করোনায় উপসর্গ নিয়ে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরে তাকে স্থানান্তর করা হয় সিলেট শামসুদ্দীন হাসপাতালে। ওখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৮ এপ্রিল মারা যান তিনি। তার অসুস্থ হওয়া থেকে শেষকৃত্যে পর্যন্ত অংশ নেন পরিবারের লোকজন। শেষকৃত্য শেষে সবুজের স্ত্রী-সন্তানকেও বিশ্বনাথের বৈরাগী বাজারে নিয়ে আসেন শ্বশুর সুকুমার বাবু। পরে নিয়মিত বাজারের চেম্বারে রোগীও দেখেন তিনি।এ দিকে সবুজের মত্যুর ৫ দিন পর গত শনিবার বিকেলে তার নমুনা রিপোর্টে থেকে জানাযায়, তিনি করোনা পজেটিভ ছিলেন। বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিক তার পরিবারের লোকজন উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করে নমুনা প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. কামরুজ্জামান বলেন, মৃত্যুর ৫ দিন পর জানাগেছে সুকুমার বাবুর ছেলে সবুজ করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে পরিবারের সদস্যরা যাওয়ায় বাড়ি লকডাউন করে, আমরা তাদের ১২ জনের নমুনা নিয়েছি।