গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ এলাকার নাগরিকদের উদ্যোগে এক সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের রায়গড় এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী অপূর্ব চক্রবর্তী তার বক্তব্যে বলেন, তাদের এলাকার (লেচু বাগানের) বদরুল ইসলাম বাবুর অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ট। বদরুল ইসলাম বাবু খুনের মামলা সহ বিভিন্ন মামলার আসামী হওয়ার পরও একের পর এক অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকার কেহ এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে তার উপর সে ও তার সহযোগীরা হামলা চালায়। যার ফলে এলাকার মানুষ চরম আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। কিছুদিন পূর্বে বদরুল ইসলাম বাবু বাহিরের জেলার এক মহিলাকে এনে নিজ বাড়ীতে রেখে ধর্ষণ করে তাকে খুন করে লাশ রাস্তার পাশে ফেলে দেয়ায় পুলিশ এ ঘটনায় তাকে আটক করে জেলে পাঠায়। সম্প্রতি ঐ খুনের মামলা থেকে জামিন লাভ করে বদরুল ইসলাম বাবু পূর্বের ন্যায় তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ অব্যাহত রেখেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
এছাড়া এলাকার এক নিরীহ রিক্সা চালককে মারধর করে তার টাকা পয়সা বদরুল ইসলাম বাবু সহ তাহার সহযোগীরা ছিনিয়ে নেয়। বদরুল ইসলাম বাবুর অপকর্মের প্রতিবাদ করায় এলাকার তরুণ যুবক ইকবাল আহমদ হামলার শিকার হন। ইকবাল আহমদ জানান, বদরুল ইসলাম বাবুর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাহার মাথায় গুরুত্বর জখম হয়েছে। এ সময় তিনি তার মাথার জখম উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তোলে ধরেন। এছাড়া এলাকার ইউপি সদস্য সেলিম আহমদকে প্রাণে মারার লক্ষ্যে বদরুল ইসলাম বাবু ও তাহার অপকর্মের সহযোগীরা বিভিন্ন ভাবে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে এলাকার লোকজন সংবাদ সম্মেলনে জানান।
এ সময় তারা আরও জানান, যে বা যারা বদরুল ইসলাম বাবু ও তার অপকর্মের সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তাকেই তারা টার্গেট করে হামলা করে। লিখিত বক্তব্যে অপূর্ব চক্রবর্তী আরও জানান, বদরুল ইসলাম বাবু ও তার সন্ত্রাসীদের কারণে এলাকার যুবতী ও স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েরা চলাচল করতে ভয় পায়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে আব্দুল মালিক, সামছ উদ্দিন, আপ্তাব উদ্দিন সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।