আপোদ কালীন সময়ে সরকারের মানবিক সহায়তার ত্রাণ চুরি ও জালিয়াতি প্রতিরোধে এবং সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঈশ্বরদীতে ডিজিটাল ‘সেন্ট্রাল সার্ভার সিষ্টেম’ উদ্ভাবন করা হয়েছে। খাদ্য ও অন্যান্য সহযোগীতায় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহারের যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসন নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছেন। ত্রানসহ অন্যান্য সহযোগিতার চুরি ও জালিয়াতি প্রতিরোধ এবং বিশেষ ওএসএস, ওএমএস, ভিজিডি, ভিজিএফসহ খাদ্যবান্ধব ও অন্যান্য সকল কর্মসূচি এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মনিটরিং ও পরিচালিত হবে। বৃহস্পতিবার পৌর এলাকার ইসলামিয়া মাদ্রাসা, সাউথ প্রাইমারী স্কুল ও আলহাজ্ব মোড়ে ‘ওএসএস’ কার্যক্রমের মাধ্যমে এই প্রযুক্তির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব রায়হান। পৌর মেয়র আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মামুন-এ-কাইয়ুম, ঈশ্বরদী খাদ্য গুদামের সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ঠ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এসময় নির্বাহী অফিসার শিহাব রায়হান জানান, উপজেলার নিজস্ব অর্থায়নে ঈশ্বরদীর তথ্য ও যোগাযোগ অধিদপ্তরের সহকারী প্রোগ্রামার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ঈশ্বরদী তথা পাবনা জেলার জন্য এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। সেনট্রালই একটি ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে সহায়তা কার্যক্রম মনিটরিং ও পরিচালিত হবে। এতে চুরি ও জালিয়াতি প্রতিরোধের সাথে সাথে একই ব্যক্তি একই সময়ে একাধিকবার সহযোগিতা গ্রহন করতে পারবে না। ঈশ্বরদীতে আজকে সফলভাবে এই প্রযুক্তি উদ্বোধনের পর সারা দেশে এটি ব্যবহারের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।
মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, ডিজিটাল সেন্ট্রাল সার্ভার সিষ্টেমকে সময়পোযোগী ও অভূতপূর্ব উদ্ভাবন। এর মাধ্যমে একই ব্যক্তির একাধিকবার ত্রাণ গ্রহন ও চুরির সুযোগ না থাকার পাশাপশি হিসেব নিকেশে স্বচ্ছতা থাকবে। পৌর এলাকার ১,৮০০ মানুষকে প্রাথমিকভাবে এই কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
সহকারী প্রোগ্রামার মাসুদ রানা প্রযুক্তি প্রসংগে বলেন, বাংলাদেশে যে সাইটগুলো রয়েছে, সেখানে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশী হলে ধীরগতির কারণে জরুরী প্রয়োজনের সময় কাজ হয় না। এই সফটওয়্যারে ধীরগতির সম্ভাবনা নেই। প্রতি সেকেন্ডে এক লাখ মানুষ একসাথে এটি ব্যবহার করতে পারবে। একটি মোবাইল আ্যাপস তৈরী করা হয়েছে। এই আ্যাপস থেকে স্ক্যান করে সাবমিট করলেই সকল ফলাফল জানা যাবে। আপদকালীন সময় ছাড়াও বছরব্যাপী সরকারের মানবিক সহায়তার সকল কার্যক্রম এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মনিটরিং ও পরিচালিত হবে।