সিলেটের বিশ্বনাথে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ইটভাটা শ্রমিকপ্রাণঘাতি করোনা সংক্রমণ রোধে ইটভাটা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও, চালু রয়েছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ইটভাটাগুলো। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ছাড়াই, চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এগুলোতে কাজ করছেন নানা বয়সী শ্রমিক। এতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। অধিক মুনাফার লোভে ইটভাটা মালিকরা শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানায়, উপজেলায় ৪টি সক্রিয় ইটভাটা রয়েছে। প্রতিটি ভাটায় প্রতিদিন কাজ করছেন নানা বয়সী প্রায় অর্ধশত শ্রমিক। বছরের এ মৌসুমে ইট উৎপাদন হওয়ায় দ্বিগুণ করা হয় শ্রমিক সংখ্যা। দূর-দূরান্ত থেকে আসা শ্রমিকরা যোগ দেন কাজে। চলমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইটভাটা বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও, ভাটাগুলোয় পুরোদমে চলছে ইট তৈরীর কাজ। সকাল-সন্ধ্যা কাজ করছেন শ্রমিকরা। পাশাপাশি এই সুযোগে অবৈধ ভাবে আশপাশ এলকার ফসলি জমির মাটি এনে জমিয়ে রাখছে ভাটা মালিকরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ভাটাগুলোর কাজ করছেন শ্রমিক। তাদের দেয়া হয়নি স্বাস্থ্য সুরক্ষা। হাতে গ্লোভস, মুখে নেই কারো মাস্কও। কর্মস্থলে কোথাও লক্ষ করা যায়নি হাত ধোয়ার ব্যবস্থাও।
সচেতন মহল বলছেন, ইটভাটাগুলি জরুরি সেবা নয়। করোনা ঝুঁকির সাথে বায়ু দূষিত করছে এগুলো। নির্গত ধোঁয়া বায়ুমন্ডলে মিশে গিয়ে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের। অনন্ত এই সংকেট ইটভাটার কার্যক্রম পুরোদমে বন্ধ রাখা উচিত।
শ্রমিকরা জানান, গরীবের আবার জীবনের ঝুঁকি? কাজ না করলে আমরা খামু কি? সংসারের চাকা ঘুরাতেই কাজে নামতে হয় আমাদের। এছাড়া তাগিদ রয়েছে দেনা-পাওনা পরিশোধেরও।
এক ইটভাটা মালিক বলেন, অল্প কিছু কাজ বাকী আছে। দু’একদিনের ভেতর শেষ হয়ে যাবে। শ্রমিকরা সাবধানতা অবলম্বন করেই কাজ করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন , সরকারি নির্দেশনা মতে ইটভাটা বন্ধ রাখার কথা। এটা যদি কেউ চালুু রাখে, তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো।