আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলনবিল অঞ্চলের মাঠে মাঠে এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলনবিল অধ্যুষিত গুরুদাসপুরেও ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় খুশির জোয়ারে ভাসছে কৃষকরা। এবারের মৌসুমে সময়মতো সার, বীজ, কীটনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা খুশি হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে ধানের ন্যায্যমূল্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ধান বিক্রি করে কৃষকদের উৎপাদন খরচই উঠেনি। দেশের খাদ্য চাহিদা মেটাতে ও ন্যায্যমূল্য পাওয়ার আশায় মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে ধান উৎপাদন করছে চাষীরা। তবে ‘কম্বাইন্ড হারভেস্টার’ মেশিনের সাহায্যে ধান কাটার পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধান মাড়াই ও বস্তাজাত করা যাচ্ছে। এতে কৃষকদের সময় এবং অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে।
গুরুদাসপুরের খুবজীপুর ইউনিয়নের রুহাই গ্রামের কৃষক রতন, বিলসা গ্রামের কৃষক হাবিবুরসহ অনেকে জানান, এ বছর ধানের ভালো ফলন হয়েছে। নেই শ্রমিক সংকট। ফলে অতিরিক্ত মজুরীও দিতে হচ্ছেনা। সঠিক সময়ে ধান কাটতে পারায় বিঘাপ্রতি ২০ থেকে ২৫ মণ করে ধান উৎপাদন হয়েছে। সব কৃষকের কাছে থেকে সরাসরি ন্যায্যমূল্যে ধান ক্রয় করতে সরকারি ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে হবে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে ঋণের বেড়াজালে আটকে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল করিম ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোছা. উম্মে কুলসুম বলেন, সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ধান কাটা শেষ হলেই কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় শুরু হবে।