রাঙামাটি শহরে তিনজন হোম কোয়ারেন্টাইনে

রাঙামাটির শহরের রাঙামাটি পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের হাসপাতাল এলাকায় মো. রাফি (২২) নামের এক যুবকসহ একই পরিবারের তিনজনকে করোনা সন্দেহে হোম কোয়ারেন্টনে রাখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ২৮ এপ্রিল থেকে ১৪ দিন তারা কোয়ারেন্টাইনে থাকবে। কেউ বের হতে পারবেনা।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার অঞ্জন কুমার দাশ এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীসহ স্থানীয় প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাঙামাটি সদর হাসপাতাল এলাকায় এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ আদেশ দেন।
জানাযায়, হাসপাতাল এলাকায় জনৈক এক মালিকের বাসায় লাভলী বেগম ভাড়ায় থাকে। গত ২৬ এপ্রিল রবিবার রাত নয়টায় যুবক রাফি চাট্টগ্রাম থেকে মুরগী বহনকারী গাড়িতে হেলপার সেজে গোপনে স্ত্রী লাভলী বেগমের কাছে চলে আসে।
আজ বিকালে দিকে নির্ভরযোগ্যে সূত্র সিএইচটি মিডিয়াকে খবর দিলে বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনে জানালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অঞ্জন কুমার দাশ এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীসহ উপস্থিত হন।


জিজ্ঞসাবাদে রাফি জানায় তার পিতার নাম আমির হোসেন গ্রামের বাড়ি লক্ষিপুর সে চট্টগ্রামের কালুঘাটে টাইলস্ মিস্ত্রীর কাজ করে। কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে স্ত্রীর লাভলীর সহযোগিতায় বাসায় মালিকের অজান্তে ২৬ এপ্রিল রাতে গোপনে ভাড়া বাসায় প্রবেশ করে লুকিয়ে থাকে বলে ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে স্বীকার করে।


ভ্রাম্যমান আদালত আজ মঙ্গলবার ২৮ এপ্রিল থেকে ১৪ দিন লাভলী বেগম রাফি দম্পতি ও লাভলী বেগমের বোন তিনজনকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেন্। কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালিন তারা জেলা প্রশাসনের ত্রাণ সহায়তা পাবে।


এসময় লাভলী বেগম ও রাফি দম্পতির বাসার মালিক মোহম্মদ আলি জিন্নাহ এবং রাঙামাটি পৌরসভার ০৯ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে রাঙামাটি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মো. শওকত আকবরকে অবহিত করা হলে তিনি সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, আগামী কাল লাভলী বেগম ও রাফি দম্পতির নমুনা সংগ্রহ করে তা চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অভ ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজেজেজে (বিআইটিআইডি) পাঠানো হবে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অঞ্জন কুমার দাশ জেলায় অবস্থানরত সর্বসাধারণকে সচেতন থাকা ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানান। #