চলমান করোনা তান্ডবেকে পুজি করে ও বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার হাট-বাজারে চাল,ডাল, তেল.চিনি, পিয়াজ, আদা, রসুন, মরিজসহ বিভিন্ন নিত্য ব্যবহার্য বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রির দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এক শ্রেনীর ব্যবসায়ীরা নিত্যপন্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।খুরচা দোকানীরা বলছেন সরবরাহ কমে যাওয়ায় এমনিট ঘটছে। মহাজনেরা তাদের চাহিদামত পন্য দিতে পারছেন না। ফলে তাদের দ্বিগুন গাড়ি ভাড়া দিয়ে পন্য আনতে হচ্ছে। যে কারণে তারা মূল্য বাড়াতে বাদ্য হচ্ছেন। অপরদিকে, চলমান করোনায় সরকার নায্যমূল্যের টিসিবি’র পন্য চালু করলেও তাহেরপুরে শুধুমাত্র এক বার দুই ঘন্টা বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাহেরপুর হাট-বাজার ঘুরে এমন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। এ হাট-বাজারের স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারন ক্রেতারা জানায়, চলমান করোনা তান্ডবেকে পুজি করে তাহেরপুর হাট-বাজারে যে আদার কেজি ছিল দেড়শ টাকা মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে সেই আদার কেজি এখন ৩শ বিশ টাকা। একই ভাবে শুকনা মরিচের দাম পূর্বের চেয়ে দ্বিগুন হয়ে এখন প্রতি কেজির দাম ৪শ টাকা। শুধু আদা মরিচ নয় এভাবে বেড়েছে ডালের দাম। আগে যে মোটা দানার ডাল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫২ টাকায় পাওয়া যেত। সেই ডালের দাম এখন দ্বিগুন হয়েছে। তার পরেও সেই ডালের মান অতি নিম্নমানের। বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, আগে দোকান গুলোতে বিভিন্ন কোম্পানীর লোকজন এসে তেল সাবান চিনিসহ বিভিন্ন প্যাকেটজাত মাসলাপাতি সরবরাহ করত। সম্প্রতি লকডাউন আরো কড়াকড়ি হওয়ায় বিভিন্ন কোম্পানীর গাড়ি প্রবেশ কমে যাওয়ায় খুরচা ব্যবসায়ীরা বেকায়দায় পড়েছে। তারা বাধ্য হয়ে বিভিন্ন পন্য মওজুদকারী মহাজনের শরনাপন্ন হচ্ছেন। এই সুযোগে ওই সব মহাজনেরা তাদের কাছে প্রতিটি পন্যের মূল্য কোম্পানীর চেয়ে বেশি করে আদায় করছে। এদিকে করোনা সংকটে খাদ্য দ্রব্যের অভাবে নি¤œ আয়ের ও খেটে খাওয়া লোকজন পড়েছে চরম বিপাকে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যর্থ হওয়া ও সকল ক্রেতাদের এক সাথে হুমড়ি খেয়ে বাজার করছে এক সাথে। এদিকে, চলমান করোনায় সরকার নায্যমূল্যের টিসিবি’র পন্য চালু করলেও টিসিবি’র ডিলার সাইদুর রহমান তাহেরপুর পৌরসভার ডিগ্রী কলেজ মাঠে ১৫দিন আগে শুধুমাত্র একদিন দুই ঘন্টা টিসিবি’র তেল,ডাল,চিনি বিক্রি করে চলে গেলেও এখন পর্যন্ত টিসিবি’র পন্য বিক্রি করতে টিসিবি’র ডিলার সাইদুর রহমান।অথচ রাজশাহী-৪ বাগমারা আসনের সাংসদ এনামুল হক স্থানীয় স্ংাবাদিকদের মতবিনিময় করে বলেন,করোনা সামনে রমজানে বাগমারা উপজেলাব্যাপি নায্যমূল্যের টিসিবি’র কয়েজন ডিলার রয়েছে। তারা ক্রেতাদের চাহিদামত পন্য সরবরাহ করবো। তবে টিসিবি’র ডিলারা জানান, তারা যে পন্য পান তা দিয়ে দিনের অর্ধেক সময়ও দোকান চলে না।