ফিরে যাবার জন্যে

আবার ফেরা হবে, ফেরা তো হয়ই, কিন্ত কেউ হয়তো থাকেনা,
থাকেনা ফেরার দলে, ওদের আসলে ফেরা হয়না, চলে যেতে হয়,
সময়ের শত্রুর খড়গে প্রাণ হারাতে হয়, সময়ইতো সব কিছু,
সময়ের প্রয়োজনেই চলা অথবা স্থির হয়ে যাওয়া,
ইরান পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে, সবাই ফিরে যাবে কার্পেট-জীবনে,
কিন্ত ডাক্তার রুহানির তো ফেরা হলো না,
অবলীলায় প্রাণ দিলো সে, মানবতা বাঁচাতে ।
ইতালী, আমেরিকার, স্বস্থ্যকর্মী যারা দিন রাত ফিরে যাবার জন্য লড়ছে,
ভারতের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা খুব প্রশংসা কুড়িয়েছে,
আমাদের নিবেদিত প্রাণ ছাত্রকর্মী, কিছুই পাবে না তারা, শুধু ফিরে যাবে।
জীবনের প্রয়োজন আর কতটুকুই বা মেটে, বড়জোর শিংমাছ, বাতাবি লেবু,
মোটা চালের ভাত, ফেসবুক, ইন্টারনেট আর ফিরে যাবার অপেক্ষা।
মাটির সোঁদা গন্ধ ছাড়া কি করে যাবে সময় ।
প্রতিষেধক আসার আগেই আরো অনেকেই চলে যাবে যারা ফিরে যাবার
অপেক্ষা করছে, হয়তো আমিও, তবুও অপেক্ষা ফিরে যাবার জন্য।