ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের নতুন হাট মোড়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দোকান বন্ধ রাখার বিষয় নিয়ে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সদস্যরা প্রথমে অনুরোধ করলেও তারা না মানলে এক পর্য়ায়ে দোকানদারদের সাথে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে এক কন্সটেবলকে ব্যবসায়ীরা লাঞ্ছিত করে। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বাহাউদ্দিন ফারুকী পুলিশ লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তবে নতুনহাট মোড়ের ব্যবসায়ীদের দাবি পুলিশ দোকানদারদের মারধরের পরই তারা প্তি হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে এ ঘটনার পরপরই ব্যবসায়ীরা সকল দোকানপাট বন্ধ করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবিরসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়রা জানান, করেনা পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বেশ কয়েকদিন ধরে নতুন হাট মোড়ের কসমেটিক, কাপড় ও জুতা স্যান্ডেলের কয়েকজন দোকানদার তাদের দোকান খুলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে ওই বাজারে সামাজিক দুরুত্ত বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছিল না। পুলিশ কয়েকদিন ধরে ব্যবসায়ীদের মৌখিকভাবে দোকান বন্ধ রাখতে বলছে। তবুও আজ কয়েকজন দোকান খুলে বসে। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হাসেম আলী মার্কেটের জুতা-স্যান্ডেলের দোকানদার রানা দোকান খুললে ঈশ্বরদী থানার এএসআই খায়রুল ইসলাম, কন্সটেবল ফুয়াদ ও রুহুল আমিন দোকান বন্ধ করতে বলেন। এ নিয়ে পুলিশের সাথে ওই মার্কেটের দোকানদারদের প্রথমে বাকবিতন্ডা হয়। একপযায়ে পুলিশের সাথে দোকানদারের সংর্ঘষ বেঁধে যায়। এসময় পুলিশ কন্সটেবল রুহুল আমিনকে মারধর করা হলে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল হতে শান্ত নামে এক কসমেটিক্সের দোকানদারকে ধরে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করলে দোকানদাররা তাকে ছিনিয়ে নেয়।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, দোকান খোলা রাখার অভিযোগে পুলিশ কয়েকজন দোকানদারকে মারধর করেছে। সেজন্য দোকানদাররা প্তি হয়ে একজন কন্সটেবলকে লাঞ্ছিত করেছে। তবে বড় ধরনের কোন সংর্ঘষ বা মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশ কন্সটেবল লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় ওই কসমেটিকস ও জুতার দোকানদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি জানিয়েছেন।