জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি ত্রানের নামে কাউকে চাঁদা দিবেন না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার ঘরে ঘরে খাদ্য পৌছে দিবে উল্লেখ করে বলেন প্রয়োজনে বিত্তশালী ও ব্যবসায়ীরা কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সাহায্য না করে নিজেরাই গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাড়ান, সাহায্য করুন।
হুইপ বলেন,আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে কেউ কেউ ভয় ভীতি দেখিয়ে ত্রানের নামে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করছে। যার কোন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নেই এবং গরিব মানুষেরকাছে এই অর্থ পৌছায় না। তিনি বলেন, সময় এসেছে মানব সেবায় উৎস্বর্গীত করা। মানব সেবাও একটি ইবাদত। দেশে খাদ্যের কোন ঘাটতি নেই। পর্যাপ্ত পরিমান খাদ্য মজুদ রয়েছে। দেশে যতদিন পর্যন্ত সংকট থাকবে ততদিন পর্যন্ত খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সরকারের পাশাপাশি বিত্তশালীদেরও এগিয়ে আসার আহবান জানান। তিনি বলেন, রহমতের এই রমজান মাসে যেন এই মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে দেশবাসী তথা বিশ্ববাসী রক্ষা পায় সেজন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া প্রার্থনা করি এবং ইনশাল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুব শীঘ্রই প্রানঘাতী করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত হবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ মোকাবেলায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং সারাদেশে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি ও প্রসাসনকে নির্দেশনা দিচ্ছেন।
২৭ এপ্রিল সোমবার দিনাজপুর সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি। এ সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
একই দিন দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে করোনা বিষয়ক সাধারন সচেতনতা এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রান কার্যক্রম সম্পর্কিত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি। দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার মাগফুরুল হাসান আব্বাসীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইমদাদ সরকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন আরা জো¯œা, শহর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ রায়হান কবীর সোহাগ, সাধারন সম্পাদক খালেকুজ্জামান রাজু প্রমুখ। সঞ্চালনে ছিলেন সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ক খ মোঃ আলাওল হাদি।