মৌলভীবাজরের কমলগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজারে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব, প্রশাসনের নিরব ভুমিকা জনমনে দেখা দিয়েছে শংকা। করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সরকার প্রণিত সামাজিক দূরত্ব ও ঘরে থাকার আইন অমান্য করেই যথারীতি বাজারের দোকানপাট খোলা থাকাতে মানুষের ভীর থাকছে চোখে পড়ার মত।
রবিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় অযথা মানুষের ঘোরাফেরার চিত্র, বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চলছে পূর্বের মতই মানুষের আড্ডা। তাছাড়া, প্রতিনিয়ত ভোরবেলায় পৌর বাজারের রড-সিমেন্ট ও হার্ডওয়্যারের দোকানগুলোতে চলে নিয়ম বহির্ভূত বেঁচাকেনা। যদিও সরকারের লকডাউনের আওতায় থাকছে এই দোকানগুলো।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোরতাকেও মানুষ তোয়াক্কা করছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ও কাঁচা বাজারে লক ডাউনের অজুহাতে নেয়া হচ্ছে চড়া দাম। মিলছেনা এক দোকানের সাথে অন্য দোকানের দামের সামঞ্জস্যতা।
সচেতনদের দাবি- অনেকেই সামাজিক দূরত্ব মানতে অনীহা প্রকাশ করছে, এতেকরে প্রশাসন আরও কঠোর হওয়া উচিত বলে মনেকরেন তারা। এমনিতেই জেলার অনেক উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগি শনাক্ত হয়েছে। ফলে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেয়ার আগেই মানুষকে ঘরে আটকে রাখতে ১৪৪ ধারা জারিসহ কঠোর হতে হবে প্রশাসনকে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূরের কথা, অনেকেই মুখে মাস্ক ছাড়াই চলাচল করছে। ঢাকা ও নারায়নগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সুকৌশলে বাড়ীফেরা বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে উপজেলা প্রশাসন হোম কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামুলক করলেও, তাদেরকে ঘরথেকে হাট-বাজারে আসা রোধ করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশেকুল হক জানান, করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে যারা অবগত তারা সরকারের নির্দেশনা ঠিকই মানছেন। আবার অনেকেই বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ঘরের বাইরে চলে আসেন, এদের ব্যাপারে প্রশাসন তৎপর, নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানাও করা হচ্ছে। আরও কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কাউকেই আর ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান তিনি।