ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একঝাঁক যুবকের উদ্যোগে করোনা দূর্গতদের সচেতনায়ন ও সহযোগিতায় কাজ করছে ‘করোনা স্কোয়াড এক’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী দল।
শুক্রবার ২৪ এপ্রিল পঞ্চম ধাপে শৈলকুপার ভাটই এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে রমজানের উপহার হিসেবে খাদ্রদব্য বিতরণ করেছে করোনা স্কোয়াড এক। সেই সাথে ‘সেবার গাড়ি’ নামে বিশেষ সুবিধা পৌঁছে গ্রামের ঘরে। সেবার গাড়িতে রয়েছে শাক সবজি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী। রমজানে সঠিক মূল্যে পণ্য পৌঁছে দেয়া হচ্ছে ঘরে ঘরে, যাতে নিত্যপ্রয়োজনে মানুষকে ঘরের বাইরে না বের হতে হয়। দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে এসব পণ্য দেয়া হচ্ছে ।
শৈলকূপা থানাধীন ভাটই বাজার ও তার আশেপাশের গ্রামাঞ্চলে এলাকা ভিত্তিক সেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে এবং ফেসবুক গ্রুেপ কমেন্ট, মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা বা ফোন কলের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তারপর যাচাই-বাছাই করে অসহায় মানুষের ঘরে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছে সংগঠনটি। সেক্ষেত্রে কেউ সেচ্ছায় আর্থিকভাবে সহযোগিতা করলে তা মূল কার্যক্রমে যুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হীরক মুশফিকের তত্ত¡াবধানে প্রথমদদিকে স্থানীয় শিক্ষিত যুবকদের অংশগ্রহণে শুরু হয় কার্যক্রম। গ্রামাঞ্চলের মানুষকে করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করা, সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে সাধারণকে সহায়তা করা, কোয়ারেন্টাইন, লকডাউন সম্পর্কিত ধারণা প্রদান এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মাধ্যমে সাহায্য করার মত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে দলটি।
এব্যাপারে করোনা স্কোয়াডের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবক মনোজিত ও কনক হাসান বলেন ‘আমরা আশেপাশে খোঁজ রাখছি, প্রকৃত অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করছি। আর স্থানীয় অবস্থা সম্পন্নদের অনুরোধ করছি মানুষের সেবায় এগিয়ে আসতে। অনেকে আসছেনও, আমরা আশাবাদী’ ।
এছাড়াও ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানাধীন প্রায় দশটি গ্রামের বাজার, উন্মুক্ত টিউবওয়েল, মসজিদ প্রাঙ্গণে জীবাণু নাশক স্প্রে ও সাবান বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সংগঠনটি।
করোনা স্কোয়াড এক এর প্রতিষ্ঠাতা হীরক মুশফিক বলেন ‘ভয়ঙ্কর একটি সময় পার করছি আমরা, এসময়ে সাবধানতা সবচেয়ে বড় প্রতিরোধ। আমরা সাবধানতা অবলম্বন করে, যতটা সম্ভব সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করে অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। সেই সাথে সকলকে সচেতন ও মানবিক হতে আহবান জানাচ্ছি। নিশ্চয়ই আমরা পারবো।’
এই সংকটে সর্বত্র সম্মিলিতভাবে কাজ করতে সচেতন যুবসমাজকে এগিয়ে আসাতে অনুরোধ করেন জাককানইবির এ শিক্ষক। স্থানীয় যুবকদের এধরণের কর্মকান্ডে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।