“কৃষক আমাদের বেঁচে থাকার রসদ” মন্তব্য করে নাটোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহরিয়াজ বলেছেন, করোনার এই দুর্যোগ মুহুর্তে বিদেশ থেকে খাদ্য নাও আসতে পারে। আমাদের উৎপাদিত ফসল সময়মত ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের অভাব থাকবেনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ জমি পতিত ফেলে রাখা যাবেনা। তাই বাড়িতে যার যেটুকু জমি আছে চাষাবাদ করতে হবে। ব্যক্তি পর্যায়ে প্রতিবাড়িতে হাঁস-মুরগী পালনের অনুরোধও জানান তিনি।
গুরুদাসপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের রুহাই-বিলসা এবং পিপলা মাঠের কর্মরত শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি ওই কথাগুলো বলেন। এসময় কৃষক শ্রমিকদের স্যালুট জানিয়ে তাদের মাঝে পানীয় জলসহ শুকনো খাবার মুড়ি, বিস্কিট, লেবু ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক।
করোনা পরিস্থিতি ও আগাম বন্যার পূর্বাভাসে মাঠের পাকা ধান দ্রুত ঘরে তোলার লক্ষ্যে শ্রমিকদের থাকা, চিকিৎসা এবং দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য সার্বিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করায় উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। এসময় উপজেলার পাঁচ শতাধিক ধানকাটা শ্রমিককে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। এসময় ইউএনও মো. তমাল হোসেন, কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল করিম ও স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও তমাল হোসেন বলেন, ঝড়-বৃষ্টিসহ করোনা মোকাবেলায় শ্রমিকদের থাকার জন্য তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র ও তিনটি কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া তিনজন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা ও তিনজন স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্য সার্বক্ষণিক তাদের দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন।