নির্মল বড়ুয়া মিলন :: মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবেলার যুদ্ধে পুরো বিশ্ব রনক্ষেত্র। পৃথিবীর শক্তিধর দেশগুলোর মৃত্যু মিছিল দেখে মনে হয়না তারা বিশ্বচালক। প্রতিষেধকহীন মহামারী করোনা থাবার কাছে ধনী গরীব সাদা কালো সবই কত অসহায়। কিন্তু তারপরও থেমে নেই যুদ্ধ। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। আমাদের বাংলাদেশ ও সেই করোনা যুদ্ধের বাইরে নয়। প্রতিনিয়ত লড়ছে দেশ। দেশের সব চেয়ে বড় এবং প্রত্যান্ত এলাকা নিয়ে গঠিত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা প্রস্তুত আছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য। যদিও এখনো কোন করোনা রোগী পাওয়া যায়নি এ জেলায়। যেকোন সময় যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত বলে আত্মবিশ্বাসের সাথে সিএইচটি মিডিয়াকে জানান, রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা। তিনি বলেন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সেনা হলেন ডাক্তার-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। রাঙামাটি জেলায় এখনো কোন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি বা করোনাভাইরাসের রোগী পাওয়া যায়নি। প্রায় ২ মাসে এ পর্যন্ত ১২৬ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ৯০ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। জেলায় ১১৫ জন ডাক্তার আছে। রাঙামাটি জেলা পরিষদ থেকে কিছু গাউন, গ্লাবস, মাস্ক, করোনা স্যাম্পল নেওয়ার লজিষ্টিক সাপোর্ট, জ্বালানী এবং একটি ডাক্তার-নার্স ও ষ্টাফদের আসা যাওয়ার জন্য একটি গাড়ি দিয়েছেন। জেলায় প্রতি উপজেলায় ১টা করে আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং জেলা সদরে ২টি আইসোলেশন ওয়ার্ড স্থাপন করা হয়েছে, একটি আঞ্চলিক জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ ইন্সষ্টিটিউট (আরপিটিআই) অন্যটি রাঙামাটি সরকারি কলেজের নবনির্মিত একাডেমিক ভবনে। আনুমানিক ১০ হাজার পিপিই পাওয়া গেছে। পর্যাপ্ত পিপিই আছে। রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের ডাক্তারগণ করোনা চিকিৎসার জন্য করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করছেন। রাঙামাটিতে করোনা চলাকালীন ডাক্তার-নার্স তথা চিকিৎসা সেবার লজিষ্টিক সাপোর্ট অক্সিজেন পর্যাপ্ত আছে। তবে নি¤œ সারির কর্মচারী যেমন : ওয়ার্ড বয়, আয়া ও পরিচ্ছন্ন কর্মীর সল্পতা রয়েছে রাঙামাটি জেলায়। টেষ্ট টিউবের মাধ্যমে স্যালাইন দিয়ে নমুনা পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডু উপজেলার ফৌজদারহাটে ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেজ- বিআইটিআইডিতে পাঠানো হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিসাৎ সেবা নিতে রোগীরা কম আসছেন কেন জানতে চাইলে সিভিল সার্জন বলেন, লোকজন বর্তমানে ঘরে বসে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসা নিচ্ছে। সিটি স্ক্যান ও ডিজিটাল ডায়গনষ্টিক ইউনিট, লেক সাইট হাসপাতাল, রাঙামাটি, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে রোগ পরিক্ষার জন্য অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, প্রাইভেট হাসপাতালের নিজস্ব সংগঠন আছে, ওদের পরিক্ষা নিরীক্ষার জন্য নির্ধারিত মূল্যে তালিকা আছে । তবে এর বাইরে বেশী মূল্য নিলে নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব বলেন সিভিল সার্জন।
রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা জেলাবাসীর উদ্দেশ্যে সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, সাবান দিয়ে ঘনঘন হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ছাড়া এসময় বিকল্প কিছু নেই কাজেই পরিচ্ছন্ন থাকুন ঘরে থাকুন এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন। সুস্থ্য থাকুন।