ইয়ানূর রহমান : যশোরের শার্শায় ২৮ দিনে প্রায় ৪০ হাজার পরিবারে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছেছেন। করোনাভাইরাসের কারণে যশোরের শার্শা উপজেলায়
কর্মহীন হয়ে পড়া দরিদ্র, অসহায় ও দিনমজুর প্রায় ৪০ হাজার পরিবারের মাঝে সরকারি-বেসরকারি পক্ষ থেকে ও ব্যক্তি উদ্যোগে চাল-ডাল-আটা-আলু-তেল ও
সাবান বিতরণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রমতে, উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের মাধ্যমে এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়া
সরকারিভাবে শার্শা উপজেলার ১৭ হাজার ৬১৭টি পরিবারের মধ্যে খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাউলের কার্ড এবং মহিলা বিষয়ক
অধিদপ্তরের অধীনে ২ হাজার ৭৬০ টি পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাউলের ভিজিডি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি
উদ্যোগে প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল বলেন, ‘করোনাভাইরাসের মহামারিতে বিশ্ব থমকে গেছে। এতে অর্থনীতির ওপর চাপ পড়েছে।
যার প্রভাব পড়েছে নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষের ওপর। তাদের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকারি
অনুদানের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।’
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পুলক কুমার মন্ডল আরো বলেন, “ঝুঁকি থাকা সত্বেও আমরা উপজেলা প্রশাসনের সকল পর্যায়ের
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাঠপর্যায়ে কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, ত্রাণ বিলির পাশাপাশি “ভারতে আটকে পড়া লোকজনকে দেশে ফেরত আনার ব্যাপারে সরকার কাজ করছে। ভারতেও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ঝুঁকি থাকলেও তাদের নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। তাদেরকে ‘প্রশাসনিক কোয়ারেন্টিনে রাখা, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করছি। তাদের সঙ্গে মিশতে হচ্ছে। তাই মনে ভয়
তো আছেই। তার পরও সর্বাধিক সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কাজ করছি। কারণ চাকরিতে ঢোকার পর এটা পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে নিয়েছি। দেশের জন্য কাজ
করাটাই আমার ব্রত। ”এই সংকটে বিত্তবানদের দরিদ্র মানুষদের সহযোগিতা করার জন আহ্বান করেন।’