করোনা পরিস্থিতি ও মাহে রমজানকে পুঁজি করে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে নাটোরের গুরুদাসপুরের নিত্যপণ্যের বাজার। সরবরাহ সীমিত, পরিবহন খরচ বৃদ্ধির অজুহাতে বেড়েছে চাল, ডাল, আলু, পিঁয়াজ, রসুন, চিনি, আদাসহ অনেক পণ্যসামগ্রীর দাম।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে মূল্য বাড়ায় বাজার এখন অস্বাভাবিক। বিপাকে পড়েছে নি¤œ আয়ের মানুষ। মজুদদার ও ব্যবসায়ীরা যে যেভাবে পারছে পণ্য মজুদ করে দাম বাড়াচ্ছে। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালালেও কমছেনা সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম।
উপজেলার বাণিজ্যনগরী চাঁচকৈড় বাজারের চাল ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানান, ২৩শ’ টাকার মিনিকেট বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৭শ’ টাকা, ১৯শ’ টাকার স্বর্ণা ২৩শ’ এবং ২২শ’ টাকার ২৯ চাল এখন ২৬শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, মিলারদের চাতাল বন্ধ থাকায় নতুন চাল উৎপাদন হচ্ছেনা এবং বাইরে মোকাম করতে না পারায় প্রতি বস্তা চালে গড়ে বেড়েছে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা। এক সপ্তাহ পূর্বের ৩৫ টাকা কেজির পিঁয়াজ এখন ৫৫ টাকা, ছোলা ৭০ থেকে ৮০, আলু ১৬ থেকে ৩০, রসুন ৭০ থেকে ১২০, এলসি ডাল ৭৫ থেকে ৯৫ এবং দেশী ডাল ৯০ থেকে ১২৫, ৯০ টাকার এক লিটারের সয়াবিন বোতল ১০৫ টাকা, ৬০ টাকার চিনি ৬৫ টাকা এবং ১৪০ টাকা কেজির আদা বর্তমানে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে গুরুদাসপুরের ইউএনও মো. তমাল হোসেন বলেন, হাটবাজারে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।