দেশে যখন করোনায় আক্রান্তের গতি বেড়েই চলেছে, ঠিক সেই সময় বাংলাদেশ সরকার করোনায় আক্রান্ত রোগীর এলাকা লকডাউন ঘোষণা করেছেন। মহামারী
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বাংলাদেশ সরকার সরকারিভাবে দেশব্যাপী হোম
কোয়ারেন্টাইম এবং লকডাউন ঘোষণা করেছেন,সারাদেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা,
ইউনিয়ন এমনকি অনেক গ্রাম পর্যন্ত লকডাউন চলছে।
দেশের
এই ভয়ংকর দূরদিনে গরীব দুঃখী মানুষ ও কৃষক-শ্রমিক এবং হতদরিদ্র পরিবার
বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে কিছুটা হলেও ত্রাণ-সামগ্রী
পাচ্ছেন। কিছুই পাচ্ছে না শুধু মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো।
লকডাউন
চলাকালীন সময়ে জনপ্রতিনিধিরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ-সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার
কথা বলা হলেও তা হচ্ছে না, হচ্ছে তার উল্টো কাজ। চেয়ারম্যান,মেওর ও এমপিরা
গরীব দুঃখীদের যাই খাদ্য-সামগ্রীদিচ্ছেন তাও আবার জনসমাগম করে। জনসমাগম না করলে মানুষ জানবে কি করে অমক এমপি,অমক চেয়ারম্যান ত্রাণ দিচ্ছেন! সরকারি আইন অমান্য করে সারাদেশের জনপ্রতিনিধিরা সারি বা লাইন ধরিয়ে গরীব-দুঃখী ও হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে ত্রাণ দিচ্ছেন।
বাড়ি
বাড়ি ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা সত্ত্বেও জনপ্রতিনিধিরা অনেকেই তা করছেন
না,গবীর দুঃখী,কৃষক-শ্রমিক ও হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা পেটের দায়ে যেখানে
ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে সেখাই হাজির হচ্চে কিছু পাওয়ার আশায়।
এদিকে চক্ষু লজ্জায় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর কোন সদস্য ত্রাণের জন্য যেখানে সেখান না গিয়ে অনাহরে বাড়িতে বসেই দিন কাটাচ্ছেন। এই
মহামারী করোনা ভাইরাস এড়াতে জনগণকে বাসায় থাকা নিশ্চিত করতে সরকারের
পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সেবামূলক সংগঠনগুলো হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে
ত্রাণ-সামগ্রী বিতরণ করছেন,যারাই ত্রাণ-সামগ্রী বিতরণ করছেন তারাই প্রথমে
হতদরিদ্র পরিবার ও গরীব দুঃখী মানুষের মাঝে বিতরণ করছেন।
কিন্তু
এই ভয়ংকর মহামারীতে লকডাউনে আটকে পড়ে কাজকর্ম ছেড়ে মধ্যবিত্ত পরিবারেরও যে
খুব কষ্টে দিনরাত অতিবাহিত করছে তা অনেকেরই নজরে নেই।
সরকারি বাজেটের ত্রাণের অধিকাংশ আত্মসাৎ করছে এক শ্রেণির মানুষরুপী জানোয়াররা, বাকি ত্রাণ বিতরণ হচ্ছে নিম্নবিত্ত পরিবারের মধ্যে। মাঝখানে মধ্যবিত্ত পরিবারে খাদ্যাভাবে হাহাকার শুরু হয়েছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা না পারছে কাউকে ত্রাণের কথা বলতে না পারছে অনাহারে দিন কাটাতে।
হতদরিদ্র পরিবারের মত, দিন মজুরদের মত খাদ্যাভাবে উচ্চস্বরে কান্না করতে পারছে না মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা।
যারা
সরকারিভাবে ও নিজস্ব অর্থায়নে এই দূরদিনে মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত
বাড়িয়েছে, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি,আপনারা কৃষক-শ্রমিক ও হতদরিদ্র পরিবারের
পাশাপাশি মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝেও অর্থাৎ সবার বাড়ি বাড়ি ত্রাণের
খাদ্য-সামগ্রী পৌঁছে দিন।খাদ্যাভাবে যেন দেশের কেউ অনাহারে না থাকে।
সবার প্রতি অনুরোধ, সরকারি আইন অমান্য করে ত্রাণের খাদ্য বিতরণ সময়ে জনসমাগম না করে খেটে খাওয়া মানুষগুলোরবাড়ি
বাড়ি পৌঁছে দিন, সেই সাথে মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝেও বিতরণ করুন। খেয়াল
রাখুন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো যাতে খাদ্যের অভাবে চাপা কান্না না করে।