নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে ত্রাণ চাওয়ায় কৃষক শহিদুল ইসলামকে ডেকে এনে মারধর করার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার ও ইউপি সদস্য রেজাউল করিমকে এবার সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। অপরদিকে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবেনা আগামি ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি আদেশ রবিবার নাটোরের জেলা প্রশাসকের কাছে পৌঁছে। এর আগে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান , ইউপ সদস্য ও অপর আসামি রুবেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।জানা যায় করোনার প্রভাবে লালপুরের ৯ নং অর্জুনপুর বরমহাটি (এবি) ইউনিয়নের আঙ্গারিপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম কর্মহারিয়ে ক কষ্টে দিন কাটছিল । লোকের মুখে শুনে তিনি গত ১০ এপ্রিল তার কষ্টের কথা জানিয়ে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে ত্রাণ চান। এঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে গতম ১২ এপ্রিল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার কৃষক শহিদুল ইসলামকে চৌকিদারকে দিয়ে ডেকে এনে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে মারধর করেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এলে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়।বিবিণœ গণমাদ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এঘটনায় বুধবার কৃষক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ১৫ এপ্রিল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার, ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম (৩৫) এবং মোঃ রুবেল (৩০) কে অভিযুক্ত করে লালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করে।নাটোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ শাহরিয়াজ বরখাস্তের পত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানিন দ্যুতি জানান তিনি এখনো এ সংক্রান্ত কোন চিঠি পাননি। অপরদিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসান ফোনে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।