করোনা ভাইরাসে সারা দেশের মত পাবনার আটঘরিয়া ও ঈশ্বরদীতে প্রায় অধিকাংশ মানুষই কর্মহীন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে নিম্ন মধ্যবিত্তের অবস্থা বেশি করুণ হয়ে পড়েছে।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সারা দেশের মতো আটঘরিয়া ও ঈশ্বরদীতে চলছে
অঘোষিত লকডাউন। লকডাউনের শুরুরদিকে কয়েকদিন চালিয়ে নিতে পারলেও হতদরিদ্র
রিকশাচালকদের জীবনধারণ কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সারাদিন রিকশা চালিয়ে দুই কেজি চালের দাম জোগাড় করতে হিমসিম খাচ্ছেন। করোনার আপদে এই পরিস্থিতিতে দুই উপজেলার কৃষকদের সবজি কিনে ট্র্যাকভরে নিম্নআয়ের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা, পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তানভীর ইসলাম।
গত একসপ্তাহ ধরে তিনি এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সোমবার দুপুরে পাবনার ঈশ্বরদী
শহরের পৌর এলাকার দুটি ওয়ার্ডের হতদরিদ্র ও নিম্নআয়ের অসহায় রিকশা ভ্যানচালক ৫শ
পরিবারের কাছে কাঁচা সবজি ও তরিতরকারি সম্বলিত উপহার সামগ্রী তুলে দেন।
ষাটোর্ধ বসয়ের আমেনা বেগম বলেন, আমরা এতটাই অসহায় যে, সরকারী কোন সহযোগীতা পায়নি। আটঘরিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান এসে আমাদের খোঁজ নিয়েছেন আর শাক-সবজি ও তরিতরকারি দিয়ে গেলেন। এটাই বেশ ভালো লাগছে।
ঈশ^রদী পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের রহিমপুর মহল্লার রিকশাচালক বাবর আলী জানান, ঈশ্বরদীতে অনেক ধনী শ্রেনীর লোক থাকলেও সাহায্য করার কেউ নাই। প্রথম আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এসে সবজি সামগ্রী দিলেন। আজকে আর কাঁচা বাজারের টেনশন রইলো না।
ব্যাতিক্রম এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তানভীর ইসলাম বলেন, সরকার বিভিন্নভাবে চাল-ডাল দিচ্ছে কিন্তু মানুষের আরও কিছু জিনিস যেমন কাঁচা তরকারি, সবজি এগুলো দরকার হয়। অভাবের তাড়নায় অনেকে ঘর থেকে বের হয়েছে। রিকশা চালিয়ে দুইকেজি চালের দাম জোগাড় করতে পারলেও শাক-সবজি
তরিতরকারি কিনতে অনেকটা কষ্ট হচ্ছে। আমার এটা কোন ত্রাণ কার্যক্রম নয়।আমার
সামর্থ্য অনুযায়ী সবজি, সামগ্রী উপহার দিচ্ছি। একার্যক্রমে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে। অন্যদিকে সবজি ভান্ডার ক্ষ্যত ঈশ^রদী ও আটঘরিয়া উপজেলার কৃষকদের সবজি নেয্যমূল্যে ক্রয় করে বিতরণ করায় তারা সবজির সঠিক মূল্য পচ্ছেন। তবে আমার মত ঈশ্বরদীর অনেক ধনী শ্রেনীর মানুষ একটু ইচ্ছা করলেই ক্রান্তিকাল
সময়ে নিজ এলাকার মানুষের পাশে দাড়ানো সম্ভব।
এবিষয়ে দুই উপজেলার বিভিন্ন স্তরের মানুষ এ কাজের প্রশংসা করে বলেন, এমন
ব্যতিক্রমী উদ্যোগে সমামাজের বিভিন্ন স্তরের বৃত্তবান মানুষ উৎসাহিত হয়ে সামাজ
সেবায় এগিয়ে আসবেন।