যবিপ্রবিতে ৬০ নমুনাই নেগেটিভ

ইয়ানূর রহমান : যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষায়ও কোনো নমুনায় করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি।
এদিন ৪৭টি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে সবকটিই নেগেটিভ ফল এসেছে। এ নিয়ে দুই দিনে বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবটিতে মোট ৬০টি নমুনার সবকটিতেই নেগেটিভ রেজাল্ট
এলো।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার থেকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারের ল্যাবে প্রথম
সন্দেহভাজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রথম দিন শুধু যশোরের সিভিল সার্জন অফিসের সরবরাহ করা ১৩টি নমুনা
পরীক্ষা করা হয়। তবে শনিবার যশোর ছাড়াও মাগুরা ও নড়াইল জেলা থেকেও সংগ্রহ করা নমুনা এই ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এদিন যশোর জেলার ২৭টি, মাগুরার ১১টি
এবং নড়াইলের নয়টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা শেষে শনিবার রাত দুটোর দিকে যশোর সিভিল সার্জনের কাছে ফলাফল দাখিল করে যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, যবিপ্রবি জেনোম সেন্টারে যশোরসহ আশপাশের জেলার নমুনাসমূহ সঠিক সময়ে সরবরাহ না করায় পরীক্ষার ফল পেতে দেরি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের
সংশ্লিষ্ট কাজে নিযুক্ত একাধিক ব্যক্তি এই অভিযোগ করেছেন। তারা এই বিষয়ে সমন্বয়হীনতার অভিযোগও করছেন।
যবিপ্রবি জেনোম সেন্টারে ল্যাবে দায়িত্বে থাকা একজন গবেষক, যিনি নাম প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন, বলেন, ‘সময়মতো নমুনা না পাওয়ায়
কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। দিনের কোনো এক সময়ে এক সাথে যদি আমরা সবগুলো নমুনা হাতে পাই, তাহলে একই প্রসেসিংয়ে এসব নমুনা পরীক্ষা করা যায়। এভাবে কাজ
করাই সহজ। অথচ নমুনা দেরিতে ও আলাদাভাবে আসায় একসাথে প্রসেসিং করা যাচ্ছে না। ফলে রেজাল্ট দিতে বিলম্ব হচ্ছে।’
তিনি বলেন, শনিবার তিন জেলা থেকে যে নমুনা সরবরাহ করা হয়েছে তা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে। যশোরের ২৭টি নমুনা বেলা ১২টা ২৭ মিনিটে, মাগুরা জেলার ১১টি
নমুনা বিকেল চারটা ৩০ মিনিটে এবং নড়াইলের নয়টি নমুনা সন্ধ্যা সাতটার দিকে জমা দেওয়া হয়। যে কারণে তিন জেলার নমুনা আলাদা আলাদা প্রসেস করা হয়। ফলে
রেজাল্ট দিতে রাত দুইটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারের সহকারী পরিচালক প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, যবিপ্রবিতে করোনা রোগী পরীক্ষার যে কার্যক্রম চলছে তা যেন
অব্যাহত থাকে, সে বিষয়ে সবাইকে আন্তরিক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ল্যাবে এ পর্যন্ত মোট ৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সবকটি নমুনার ফল নেগেটিভ এসেছে। ৪০০ কিটের মধ্যে ৩৪০টি কিট আমাদের
কাছে রয়েছে।’
কিট সরবরাহ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রোববার থেকে বিকেল তিনটার মধ্যে যাতে পাশের সব জেলার নমুনা জমা দেওয়া হয়, সংশ্লিষ্ট
কর্র্তপক্ষকে সেই অনুরোধ করেছি। নমুনা হাতে পেলে একই প্রসেসিংয়ে সবকটি পরীক্ষা করতে পারবো।’

এ বিষয়ে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, নমুনা আসলে এক সঙ্গে পাওয়া যায় না। কোনোটি আগে পাওয়া যায়, আবার কোনোটি পরে। ফলে এক
সঙ্গে জমা দেওয়া সম্ভব না।
‘তারপরও আমরা চেষ্টা করছি প্রতিদিন বিকেল তিনটার মধ্যে নমুনাগুলো জমা দিতে। প্রত্যেক জেলার সিভিল সার্জন অফিস আলাদা আলাদাভাবে এসব নমুনা জমা
দেবেন,’ বলছিলেন সিভিল সার্জন ডা. শাহীন।