করোনার উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী আইডি হাসপাতালে (আইসোলেশন ওয়ার্ড) এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ওই যুবক নাটোরের নলডাঙ্গা থানার মাধনগর গ্রামের বাসিন্দা।
অন্যদিকে করোনার উপসর্গ জ্বর-সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। যাদের মধ্যে তিনজনকে আইসোলেশনে এবং পাঁচজনকে পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম সঞ্জয় জানান, গত ৫-৬ দিন থেকে জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
রামেক হাসপাতালে করোনা চিকিৎসক টিমের প্রধান অধ্যাপক আজিজুল হক আজাদ বলেন, করোনা উপসর্গ থাকায় নাটোরের ওই যুবককে সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। এছাড়াও তার শরীরে চিকেনপক্স (হাম) ছিল। করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের আগেই তিনি মারা যান। তবে সকালে তার মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে তার লাশ দাফন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, রাজশাহী সংক্রমক ব্যাধি (আইডি) হাসপাতালে স্থাপিত আইসোলেশনে ভর্তি তিনজনের দু’জন রাজশাহীর কলাবাগান ও শালবাগান এলাকার বাসিন্দা। অপরজনের বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুরে। তাদের তিনজনের করোনার উপসর্গ থাকায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পর্যবেক্ষণে থাকা পাঁচজনের করোনা উপসর্গ এখনো নেই। তাদের চিকিৎসা চলছে। তারা সবাই সুস্থ আছেন। এছাড়া রাজশাহীতে করোনা সংক্রমিত চার রোগিই নিজ বাড়ির আইসোলেমনে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারা সবাই সুস্থ হয়ে উঠছেন। চিকিৎসকদের নিয়মিত যোগাযোগে তারা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন।