নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে ত্রাণ চাওয়ায় কৃষক শহিদুল ইসলামকে ডেকে এনে মারধর করার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালের দিকে পাবনা জেলার ঈশ্বররদী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে নাটোর জেলা পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে নাটোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা আব্দুস সাত্তারকে গ্রেফতারের ঘোষণা দেন। প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলে এএসপি সদর সার্কেল আবুল হাসনাত, বড়াইগ্রাম এসপি সার্কেল হারুনা রশিদ ও সদর থানার ওসি আলঙ্গীর হোসেন।
জানাযায় করোনার প্রভাবে লালপুরের ৯নং অর্জুনপুর বরমহাটি (এবি) ইউনিয়নের আঙ্গারিপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম কর্মহারিয়ে ক কষ্টে দিন কাটছিল। লোকের মুখে শুনে তিনি গত ১০ এপ্রিল তার কষ্টের কথা জানিয়ে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে ত্রাণ চান। এঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে গতম ১২ এপ্রিল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার কৃষক শহিদুল ইসলামকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে চৌকিদারকে দিয়ে ডেকে এনে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে মারধর করেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এলে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়। এঘটনায় বুধবার কৃষক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়েগত ১৫ এপ্রিল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার, ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজা (৩৫) এবং মোঃ রুবেল (৩০) কে অভিযুক্ত করে লালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, মামলার পরে আব্দুস সাত্তার পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। অবশেষে পুলিশের একটি চৌকষ দল গত দুদিন যাবৎ চেষ্টা চালিয়ে শুক্রবার সকালে তাকে গ্রেফতার করে। অপরদিকে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেছেন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। আগামি তিন কার্যদিবসের মধ্যে কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তার জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ভুক্তভোগী কৃষক শহিদুল ইসলামকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।