কমলগঞ্জে উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নে সরকারী চাল চুরি করে বিক্রির অভিযোগ স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতির বিরুদ্বে। তিনি হলেন ইসলামপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ মিয়া। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিল রাত অনুমান ১১টার সময় মৌলভীবাজার -থ ১২-৩৫৭২ সিরিয়ালের একটি সিএনজি যোগে ৫ বস্তা চাল ডিলার আব্দুল্লা মিয়া রাতে শাহেদ নামের এক সিএনজি চালকের মাধ্যমে পাচার করেন, সাথে ছিলেন ডিলারের ছেলে আজিজুর রহমান। এঘটনা দেখে স্থানীয় গুলের হাওর বাজারের পাহারাদার বাধা দিলে তার সাথে অসদাচরণ করে চাল নিয়ে পালিয়ে যান। রাতের আধারে চাল কোথায় গেল এনিয়ে এলাকায় চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষণ। বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের ক্ষুধার দু:খ কষ্ট গোচাতে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, বর্তমান করোনা ভাইরাসের কঠিন মুহুর্তে চাল পাচার এটা আমরা মানতে পারছিনা। তারা আরো জানান, গত এক বছর আগে এভাবে ৩৫ বস্তা চাল চুরি হলে আজও এই চালের খোজ মিলেনি। সাংবাদিকদের কাছে আসা একটি অডিও ক্লিপে ডিলার আব্দুল্লাহ কে বলতে শুনা যায় ঘটনা কাউকে না জানাতে, এবং স্থানীয় অমুক-তমুককে ম্যানেজ করতে অনুরোধ জানান। আজ ১৬ এপ্রিল বিকালে ডিলার আব্দুল্লাহ কে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এলাকাবাসী। ব্যবসায়ী তারেক মিয়া জানান, চাল পাচারকালে বাজারের পাহারাদার আমাকে ডাক দিলে আমার দোকান থেকে বের হয়ে চালসহ সিএনজি ও ডিলারের ছেলেকে দেখতে পাই। পরে তারা চাল ভর্তি সিএনজি নিয়ে কুরমাঘাটের দিকে চলে যায়। বাজার পাহারাদার জয়নাল মিয়া জানান, তখন রাত অনুমান ১১টার সময় দোকানের সাটার খোলার আওয়াজ শুনে গিয়ে দেখি ডিলারের ছেলে আজিজুর রহমান সিএনজি ভর্তি করে চাল নিয়ে যাচ্ছেন, আমি বাধা দিলে আমার সাথে তিনি অসদাচরণ করেন।এর আগেও ৩৫ বস্তা চাল চুরি হলে আমাদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা হয়। এবিষয়ে আমি কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কমলগঞ্জ থানা বরাবরে আজ ১৬ এপ্রিল একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। ডিলার আব্দুল্লাহ মিয়া জানান, গত রাতে কোন চাল তার দোকান থেকে বাহিরে যায় নাই বলে সাফ জানান, অডিও ক্লিপে স্বীকারোক্তির ব্যপার জিজ্ঞেস করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক জানান, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।