করোনাভাইরাসেও বাগমারায় পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ

নভেল করোনাভাইরাসে মানুষের জীবন মরন নিয়ে যখন চলছে বাঁচা মরার আশা ঠিক সেই সময় নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১এর বাগমারা জোনাল অফিসের ডিজিএমসহ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফলতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির কারণে উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভাসহ বাগমারার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজ ও ব্যাপক লোডশেডিং করা হচেছ। এরই ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা হচ্ছে ব্যাহত। সেই সাথে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং বাগমারাবাসীকে আরো দুর্বিষহ করে তুলেছে। এভাবে বিদ্যুৎ দেয়া নেয়ার খেলায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এখানকার সাধারন গ্রাহকরা। অপরদিকে,অযোগ্য নতুর ডিজিএম যোগদানের পর থেকে চরম দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে এই জোনাল কার্যালয়টি। অভিযোগ রয়েছে, এখানে ৮শ’ টাকার মিটার সংযোগ পেতে দালালের মাধ্যমে ব্যয় করতে হয় এখনো ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। আবার ভুয়া দালালের পাল্লায় পড়লে চাহিদা মতো টাকা ঘুষ দিয়েও বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। এছাড়া আবাসিক, মিল-কারখানা ও সেচ সংযোগের জন্য মোট গ্রাহক সংখ্যা ৪৮ হাজার ৫৭৩ জন রয়েছে। এবং দীর্ঘদিন যাবৎ এই বিপুল সংখ্যক গ্রাহক বাগমারা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের নিয়োজিত দালাল চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। একটি মিটারের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে ডিপোজিট হিসাবে ৬শ’ টাকা, সদস্য ফরম ১শ’ টাকা ও আনুষঙ্গিক ১শ’সহ মোট ৮শ’ টাকা জমা দেয়ার বিধান থাকলেও এখানে গ্রাহকদের কাছ থেকে দালাল চক্রের মাধ্যমে নেয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাগমারা জোনাল অফিসের বিগত ডিজিএম রেজাউল করিমকে ১৫/১১/২০১৯ সালে বদলি করে নাটোর জেলার সিংড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আর সিংড়া থানা থেকে নিয়ে আসা অযোগ্য বর্তমান ডিজিএম সুলতান আহমেদ যোদানের পর থেকে গত কয়েক মাস ধরে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -১ এর বাগমারা জোনাল অফিসের আওতায় দিনে রাতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বেশী ভাগ সময়ই পল্লী বিদ্যুৎ থাকে না গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায়। ফলে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী,ব্যবসায়ী,কৃষক ও সর্বসাধারনকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। এছাড়া সামান্য বৃষ্টি বা একটু জোরে বাতাস হলেই নাটোর পল্লী বিদ্যুতের জাতীয় গ্রীড ফল্টের অজুহাতে বিদ্যুত বন্ধ হয়ে যায়। আবার আকাশ সামান্য মেঘাচ্ছন্ন হতে না হতেই একই অবস্থার সৃষ্টি হয়। মাঝে মাঝে লোডশেডিংয়ের মাত্রা ব্যাপক বেড়ে যায়। এবং করোনাভাইরাসের মধ্যে এখানকার খেটে খাওয়া মানুনসহ শ্রেণী পেশার মানুষের চরম কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক জীবনধারা ও দাপ্তরিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। তখন কেন্দ্রীয় সঞ্চালন লাইনসহ অন্যান্য লাইন মেরামতের অজুহাত দেয় বর্তমান ডিজিএম । এবং তার মোবাইল ফোনটি বিজি করে রাখা হয় বলে শত শত অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অপরদিকে অযোগ্য ডিজিএম সুলতান আহমেদকে বদলী চেয়ে বর্তমান সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সোশাল মিডিয়া ফেসবুকে অনেকে নিরুপায় হয়ে লেখালেখি শুরু করেছে তার বিরুদ্ধে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বাগমারা জোনাল কার্যালয়ের ডেপুটি জেলারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সুলতান আহমেদ বলছেনে জাতীয় গ্রীড থেকে চাহিদার কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় লোডশেডিং ও সঞ্চালন লাইনে কিছু কিছু ত্রæটি থাকায় লো ভোল্টেজ হওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন স্যাড ডাউনসহ কিছু ত্রæটি হয়েছে। এছাড়া আমার মোবাইলে অনেকে যোগাযোগ করে তখন বিজি দেখাতে পারে। তবে এই সমস্যা আগামীতে থাকবে বলে জানান তিনি।