লজ্জা, দূ:সময় চাল চুরি

শুনেছি চোরে শোনেনা ধর্মের কাহিনী।বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব আজ করোনাভাইরাসের ছোবলে আক্রান্ত।ঠিক সেই সময় প্রবাদটি অক্ষরে অক্ষরে প্রতিফলিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে দেশ স্বধীন হয়েছিল। আজ তাঁরই কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে করোনা প্রতিরোধে দেশের মানুষের শান্তির আশায় বুক বেঁধে জনগণের পাশে।

প্রশাসন, ডাক্তার, সেনাবাহিনী, পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবক প্রচন্ড রৌদ্রে, বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাতদিন নিরলস প্ররিশ্রম করছেন বাংলার মানুষকে সুস্থ্য রাখতে, বাংলার মানুষের শান্তি ফিরিয়ে দেবার জন্য।ব্যাংকাররাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন মানুষের কল্যানের জন্য।

সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দরিদ্র জনগোষ্টির জন্য ওএমএস, বিশেষ ওএমএসসহ নানান ধরনের ত্রাণ বরাদ্দ দিচ্ছেন। দেশের মানুষ যেন না খেয়ে না থাকে তার জন্য নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। দেশের বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ, সংগঠন, সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ দিচ্ছেন। আর ঠিক সেই সময়ে এক শ্রেণির কথিত চেয়ারম্যান, মেম্বর, সরকার দলীয় ব্যক্তিরা ত্রাণের চাল চুরি করে বিক্রি করছে।উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ইউনিয়ন সভাপতি, নেতা ত্রাণের চাল চুরির জন্য আটক হয়েছে। কেউ ত্রাণের চাল ঘরে গর্ত করে মাটির নীচে রাখছে আবার কেউ পুকুরে  ফেলছে।

আমাদের কি কোন লজ্জাবোধ নেই? নেই কোন সামাজিকতা, মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা। মানুষ যেখানে না খেয়ে থাকছে, সেখানে রক্ষক হয়ে ভক্ষণ করা হচ্ছে। এটা মেনে নেবার নয়।এই দূ:সময়ে চাল চুরির মতো জঘন্য কাজ করে অপবাদ নেয়া হচ্ছে।চুরির মতো জঘন্য দূর্নাম দেশের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর এবং দলের জন্যতো বটেই।

যারা জনগণের ভোটে চেয়ারম্যান, মেম্বর নির্বাচিত তারাতো জনগণের সেবার জন্য। অথচ সেবার নামে না খাওয়া মানুষের ত্রাণের চাল চুরি? বা!

যে দেশ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন হয়েছে, আজ আমরা স্বাধীন পতাকা, স্বাধীন ভূখন্ড, মানচিত্র পেয়েছি। সেই বঙ্গবন্ধুর মুজিব কোর্ট পড়ে দলীয় লেবাজ ধারণ করে ত্রাণের চাল চুরি এটা একেবারেই বেমানান। আপনি মুজিব  কোর্টও পড়বেন আবার ত্রাণের চাল চুরি করবেন, তা হয় না। আপনি মুজিব কোর্টকে অপমান করছেন। এই অধিকার আপনাকে বাংলার মানুষ দেয় নাই। এদের প্রকাশ্যে বিচার করা হলে এই দূ:সাহস আর কেউ পাবে না।

মো: আফতাব হোসেন

সাংবাদিক।