বাংলাদেশের
জনগণ এই মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে আতংকিত হয়ে যখন বাড়ির বাইরে
যেতে পারছে না,তখন তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়িতে বসে দিন
কাটাচ্ছেন,কিন্তু তাঁদের এই বাড়িতে বসে থাকা মানে অনেক পরিবারের সদস্যদেরকে
অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে।
সারাদেশে
করোনা যাতে করে না ছড়িয়ে পড়ে সেজন্য সরকার বিভিন্ন জেলা বা শহর লকডাউন
ঘোষণা করে দিয়েছেন। এমনকি যে এলাকায় করোনায় আক্রান্ত রেগীর সন্ধান পাওয়া
যাবে সেই এলাকার গ্রামগুলোতেও লকডাউন ঘোষণা করেছেন।
লকডাউন ঘোষণা করে জনগণের কথা চিন্তা করে সরকার অনেক টাকা বাজেট করেন যাতে করে জনগণকেলকডাউন চলাকালীন সময়ে এই বাজেটের অর্থ খাদ্য-সামগ্রী সরবরাহ করা যায়।
বাংলাদেশ
বলে কথা, বাজেট ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী তো আর সরাসরি মাঠে কাজ করতে পারেন
না। জনগণের এই দূরদিনেও চলছে বাজেটের ত্রাণ-সামগ্রী নিয়ে টালবাহানা।
বিভিন্ন
জেলার সরকারি প্রতিনিধিদের মাধ্যমে এই গরীব দুঃখী মানুষের জন্য বাজেট কৃত
ত্রাণ-সামগ্রী অনহারে থাকা পরিবারের সবাইকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেওয়ার
কথা বলা সত্ত্বেও লাখো পরিবার ত্রাণের খাদ্য-সামগ্রী পাচ্ছে না।
খেটে
খাওয়া মানুষগুলোর জন্য বাজেট কৃত ত্রাণের অধিকাংশ চলে যাচ্ছে আওয়ামিলীগ এর
বিভিন্ন নেতার দপ্তরে, ত্রাণ থেকে বিতাড়িত হচ্ছে লক্ষ লক্ষ পরিবার।
সরকারিভাবে
সবাইকে ত্রাণ-সামগ্রী দেওয়ার কথা বলা হলেও অনকেই পাচ্ছে না এই
ত্রাণ-সামগ্রী। ত্রাণ যাচ্ছে হরিলুটে,ত্রাণ যাচ্ছে মেম্বার,চেয়ারম্যান ও
এমপি মন্ত্রীদের গোপন গোডাউনে।
জনজীবনে জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ,কেউ অনহারে আবার কেউ তিনবেলার কাছে এক খেয়ে আর দুইবেলা না খেয়ে জীবন যাপন করছে।
যাদের
হাতে এই ত্রাণের খাদ্য-সামগ্রী বিলি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁদের
অধিকাংশ নেতাই আত্মসাৎ করছে ইচ্ছেমত। গুটিকয়েক মানুষের মাঝে কিছু পরিমানে
খাদ্য-সামগ্রী দিয়ে মিডিয়া দিয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে বাহাদুরি দেখাচ্ছেন,আবার
নিউজের পাতায় দেখা যাচ্ছে প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে বিলি করছেন,অথচ জনগণের
অগোচরেে মেরে দিচ্ছেন শত-হাজার চালের বস্তা।
যেখানে
সরকার ঘোষণা দিয়েছেন খাদ্য-সামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌঁছাতে, সেখানে তা
দিচ্ছেনই না যাই বা কোথাও দিচ্ছে সেখানে ভীর জমিয়ে সরকারি আইন অমান্য করা
হচ্ছে।
আসুন এবার জনগণের কথায় আসা যাক,যে জনগণের জন্য বাজেট ঘোষণা করা হলো,সেই জনগণই যদি তাদের ন্যায্য অধিকার না পায় বা গরীব দুঃখী
খেটে
খাওয়া মানুষগুলো বাজেট কৃত ত্রাণ সামগ্রী নাই পায় তাহলে এসব বাজেট ঘোষণা
করার অর্থ কি? আর ঘোষণা করার পর জনগণ কেনইবা পাবে না,কেউ পাবে কেউ পাবে না
এমনি বা হবে কেন?
মেম্বা,
চেয়ারম্যানের আত্মীয় স্বজনরা ত্রাণ পাচ্ছে অথচ পাড়ার দিনমজুর, খেটে খাওয়া
শ্রমিক পাচ্ছে না! এ আবার কেমন নীতি এ আবার নেতার মানবিকা। যে পরিবার খেয়ে
পড়ে বেঁচে আছে তাকে না দিতে হবে দিন মজুরদের,দিতে হবে অনাহারে থাকা জনগণকে কিন্তু বাংলাদেশ এই মহামারীতেই দেখা যাচ্ছে এর উল্টো চিত্র।
যারা
ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য তারাই পাচ্ছে না,আবারা যাদের ত্রাণ ছাড়াও তারাই পাচ্ছে
ত্রাণ-সামগ্রী,এতে করে যারা প্রকৃত গরীব দুঃখী তারাই বঞ্চিত হচ্ছে সরকারি
ত্রাণ-সামগ্রী থেকে। যার দরুন জনজীবনে নেমে পড়েছে চরম দুর্ভোগ।