রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় এক যুবকের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়ার পর ৪৩ পরিবারকে লকডাউন করে দিয়েছে প্রশাসন। তবে করোনায় আক্রান্ত যুবককে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমা আকতার। তিনি জানান, রাজশাহীতে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের বগুড়াপাড়া গ্রামে। রোববার বিকেলে তার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যায়। এর পর পরই রোগীর বাড়ি ও তার শ্বশুরবাড়িসহ আশপাশের ৪৩টি পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। এসব পরিবারের সদস্যরা বাড়ির বাহিরে বের হতে পারবে না বা ওই বাড়িগুলোতে কেউ যেতে পারবে না। এছাড়া দুইটি ওষুধের দোকান ও একটি ফিলিং স্টেশনের কর্মচারিদের হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। এই সঙ্গে একই সঙ্গে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১০ জনের। ওই যুবকের পরিবারের অপর সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস নির্ণয় ও চিকিৎসা কমিটির আহ্বায়ক এবং মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আজিজুল হক আজাদ বলেন, ওই যুবকের বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলবে। ইতোমধ্যেই তাকে ওষধ দেয়া হয়েছে। সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি দল তার কাছে ওষধ পৌঁছে দিয়েছে বলে জানান তিনি। পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওলিউজ্জামান বলেন, ওই এলাকায় সার্বক্ষনিক নজরদারি রাখতে রোববার সন্ধ্যা থেকে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ লোকজনের সচেতনতা বাড়াতে মসজিদগুলোতে মাইকের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।