করোনা ভাইরাসের কারণে মহাসড়ক লকডাউন ঘোষনা করলেও ঢাকা থেকে আসা একটি প্রাইভেটকার নাটোরের বড়াইগ্রামে খাদে পড়ে আগুনে পুড়ে গেছে। মহাসড়কে চেকপোষ্টে পুলিশের সিগন্যাল অমান্য করে পালাতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রাইভেটকার চালক জয়মুল্লুক (৪০) মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হয়েছেন। রোববার সকালে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের বড়াইগ্রাম উপজেলার আইড়মাড়ী নুরে আলম ফিলিং ষ্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও বনপাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহত চালককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। চালক জয় মুল্লুক নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার দশদার গ্রামের বারেক আলীর ছেলে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে তল্লাশী এড়িয়ে কিভাবে চালক ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে বনপাড়ায় এসে আবার ফিরে যাচ্ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
বনপাড়া ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার আব্দুস সালাম জানান, যাত্রী নামিয়ে বনপাড়া থেকে ঢাকায় ফেরার পথে প্রাইভেটকারটি (ঢাকা মেট্রো-গ ১৭-৫২০৭) আইড়মাড়ী নুরে আলম ফিলিং ষ্টেশন এলাকায় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার ১৫ ফিট নীচে পরে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে আগুন ধরে যায়। এতে চালক মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হয়। এ সময় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাকে দ্রæত উদ্ধার করায় তিনি দগ্ধ হননি। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুনে প্রাইভেটকারের এক তৃতীয়াংশ পুড়ে গেছে।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কের লাথুরিয়াতে তাকে সিগন্যাল দেয়া হয়। চালক সিগন্যাল না মেনে দ্রæত গতিতে পালিয়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। তাছাড়া মহাসড়কে টহল থাকলেও কখন কিভাবে গাড়ীটি এ এলাকায় আসলো তা বুঝতে পারছি না।
আহত চালকের ভাই ঘটনাস্থলে আসা আলাউদ্দিন বলেন, আমরা ঢাকার আশুলিয়াতে থাকি। পাশের বাসার একজনের আত্বীয় মারা যাওয়ায় তাদেরকে নিয়ে জয় মুল্লুক বনপাড়াতে রাত দুইটার দিকে পৌঁছায়। সেখান থেকে ফেরার সময় দুর্ঘটনা ঘটে।
বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আসাদুজ্জামান বলেন, চালকের মাথায় আঘাত লেগেছে। তার চিকিৎসা চলছে। এ বিষয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, আহত প্রাইভেট কারের চালক কিভাবে প্রবেশ করেছিল সে বিষয়ে চালক একটু সুস্থ্য হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।